বর্ষার মরশুমে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জেলাগুলি। বিহারে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এরইমধ্যে আবার জল ছাড়া শুরু করছে ম্যাসাঞ্জোর আর তিলপাড়া জলাধার। ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে তিন জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও ভবিষ্যতে তা খারাপ হবে বলে মনে করছে সেচ দফতর।

ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের বন্যা পরিস্থিতি চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা সেচদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ১৪ হাজার ৯০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দেওচা ব্যারেজ থেকে ১ হাজার ৮৫০ এবং বৈধড়া ব্যারেজ থেকে ৩ হাজার ১০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর আগামীতে এলাকার নদীগুলিতে জল বেড়ে জেলার একাধিক মহকুমায় নদীর জলে একাধিক ব্লক প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে গ্রামে ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে বীরভূমেও টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, অজয়, কুয়ে, হিংলো প্রভৃতি নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। মহম্মদবাজারের পুরাতন গ্রামে দ্বারকা নদের জলস্তর বাড়ার ফলে পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের কংক্রিটের সেতুটির একাংশ ভেঙে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে মহানন্দা। বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে ফুলহরের জলস্তরও। কৃষিজমিতে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়ে চাষাবাদেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যার সতর্কতা জারি না করা হলেও, জলস্তর বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা সেচ দফতরের।
