শ্রীরামপুরে আক্রান্ত পরিবারের প্রতি অমানবিক পড়শিরা, ব্যবস্থা নিল প্রশাসন

পরিবারের ছোট মেয়ে কোভিড পজিটিভ হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। শ্রীরামপুরের 25 নম্বর ওয়ার্ডের গাঙ্গুলিবাগানে সেই রোগীর বাড়িকে ‘করোনা বাড়ি’ আখ্যা দিয়ে পাড়ায় একঘরে করে রাখার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। পাড়ার গলির মুখে দড়ি দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী বাড়ির পাশে পুরসভার জলের কল প্লাস্টিক দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান, বাজার। এমনকী, প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। বাড়ির নীচে এক আত্মীয়র কেবলের বিজনেস রয়েছে, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারে রয়েছেন 85 বছরের বৃদ্ধা মা ও বয়স্কা তিন বোন। গত 28 তারিখে ছোট বোন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি নিজেও ট্রপিক্যাল মেডিসিনের স্বাস্থ্যকর্মী। তার জেরে পুরো পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে বলে জেলাশাসককে অভিযোগ জানানো হয়। শুক্রবার দুপুরে 22 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় যান। পরিবারের তিন বোনের সঙ্গে কথা বলেন ও সমস্ত দেখভাল করার প্রতিশ্রুতি দেন। বন্ধ জলের কলের মুখ থেকে প্লাস্টিক খুলে দেন তিনি।

বিকালে শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ত্রাণ সামগ্রী ও পালস্ অক্সিমিটার দেন পরিবারের সদস্যদের হাতে।

Previous articleরাজস্থানে ঘোড়া কেনাবেচার দর ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে, অভিযোগ গেহলটের
Next articleশহরে ফের এক করোনা যোদ্ধা চিকিৎসকের মৃত্যু