লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ২১,৮২৮,৯৯৭। মৃতের সংখ্যা ৭,৭৩,১২২। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা মৃত্যুর সংখ্যা থেকে অনেকটাই বেশি। সারা বিশ্বে এই সংক্রমণের হাত থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪,৫৬৫,২৫১ জন।

আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি পেরিয়ে যাওয়ার পরে খানিকটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে রাশিয়া। তবে সন্দেহের বাঁকা চোখেও দেখা হচ্ছে রাশিয়াকে। গত বৃহস্পতিবার অনুমোদনের বার্তা ঘোষণার পর ভ্যাকসিন উৎপাদনও শুরু করেছে পুতিনের দেশ। আর তাতেই সমালোচকরা বলছেন, তথ্য প্রকাশ্যে নেই। প্রশ্ন থাকছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে।
তবে কীভাবে এত সহজে রাশিয়া প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারল? উঠছে প্রশ্ন

রাশিয়ার জবাব, এর পিছনে ছ’বছরের কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। ইবোলা এবং মিডল ইস্ট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোমের প্রতিষেধক গবেষণাই তাদের কার্যসিদ্ধি সহজ করে দিয়েছে। রাশিয়ার দাবি, করোনার সঙ্গে এই মিডল ইস্ট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোমের বহু মিল রয়েছে। আর সেই কারণেই মারণ ভাইরাস করোনার প্রতিষেধক তৈরি করা তাঁদের কাছে তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ হয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়কের প্রশাসন জানাচ্ছে, ইবোলার সঙ্গে লড়াইটাও কীভাবে তাদের পথ মসৃণ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, স্পুটনিক-ফাইভ তৈরিতে অ্যাডিনো ভাইরাসের সঙ্গে অন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন মিশিয়েই এই ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়েছে।

এছাড়াও ভ্যাকসিন সম্পর্কিত নানান তথ্য দিতে একটি ওয়েব সাইটও প্রকাশ করেছে পুতিন প্রশাসন। https://sputnikvaccine.com/
