করোনায় প্রয়াত আওধের শেষ নবাবের প্রপৌত্র সাজ্জাদ আলি মির্জা

প্রয়াত হলেন আওধের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ এবং বেগম হজরত মহলের প্রপৌত্র কাওকব কাদের সাজ্জাদ আলি মির্জা৷ সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ রবিবার সন্ধ্যায় মারা যান৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর৷
মৃত্যুর পর তাঁকে মেটিয়াবুরুজের পারিবারিক কবরস্থান গুনশানাবাদে সমাধিস্থ করা হয়৷
একসময় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দু নিয়ে ডক্টরেট পাশ করেছিলেন তিনি৷ তারপর সেখানেই উর্দু ভাষার অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন৷ ১৯৯৩ সালে অবসর নেন৷

অবসরের পর ঘটনাচক্রে কলকাতায় চলে আসেন৷ মেটিয়াবুরুজে থাকতেন তিনি৷ সেখানকার সিবতোনাবাদ ইমামবাড়া ট্রাস্টের সিনিয়র ট্রাস্টি ছিলেন৷ গত সপ্তাহে শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা পরীক্ষা করান তিনি৷ রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ চিকিৎসা শুরু হয়৷ কিন্তু ক্রমে অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ রবিবার স্ত্রী, দুই ছেলে ও চার মেয়েকে রেখে চলে যান তিনি৷
লখনউয়ের প্রখ্যাত শিয়া ধর্মীয় পরিবারের সদস্য মামলিকাত বদর ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ৬ সন্তানকে নিয়ে ছিল তাঁদের সংসার।

অস্কারজয়ী চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায় ওয়াজিদ আলি শাহকে নিয়ে গবেষণা করার সময় তাঁর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অবদান সম্পর্কে তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন। তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ চলচ্চিত্রের গবেষণামূলক পরামর্শদাতা ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন লেখায় সত্যজিৎ রায় বহুবার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাকে। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মেটিয়াবুরুজে।