খোওয়া গিয়েছিল মোবাইল। সেই মোবাইল খুঁজেও পেলেন। কিন্তু মোবাইলের ফটো গ্যালারিতে যা দেখলেন তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় মালয়েশিয়ান তরুণ জ্যাকরিডজ রডজির। ফোন ভর্তি শুধু বাঁদরের সেলফি।

এই ঘটনা যে গল্প নয়, সত্যি তার প্রমাণ দিতে ওই তরুণ সোশ্যাল সাইটে তাঁর ফোন ও বাঁদেরর ছবিও পোস্ট করেছেন।জ্যাকরিডজ প্রতি রাতেই ঘুমোনোর সময় মাথার কাছে মোবাইলটা রেখে দেন। একদিন সকালে তিনি দেখেন, মোবাইল নেই।ঘরের সমস্ত কিছুই ঠিক আছে। বুঝতে পারছিলেন না কী হল!

Something yang korang takkan jumpa setiap abad. Semalam pagi tido bangun bangun tengahari phone hilang. Cari cari satu rumah geledah sana sini semua takde then last last jumpa casing phone je tinggal bawah katil tapi phonenya takde. Sambung bawah. pic.twitter.com/0x54giujnY
— z (@Zackrydz) September 13, 2020
মোবাইল খুঁজতে শুরু করেন জ্যাক। এদিকে, জ্যাকের বাবাও ছেলেকে না পেয়ে ফোন করতেই থাকেন। দু’দিন পরে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে ফোনের রিং শুনতে পান জ্যাক। পাম গাছের নীচে পড়েছিল ফোন। ফোন মিললেও, ভারি অবাক হয়েছিলেন কমপিউটার সায়েন্সের ছাত্র জ্যাক। কারণ ওই ফোন কে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গলে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। চোর যদি মোবাইল চুরি করবে, তাহলে সে জঙ্গলে ফেলবেই বা কেন?

আরও পড়ুন : সিগারেটের টুকরা ধরিয়ে দিল খুনিকে, অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

মোবাইলের রহস্য ভেদ করতে যখন জ্যাকের কালঘাম ছুটছে, তখন তাঁরই এক আত্মীয় মজা করে বলেছিলেন, “মোবাইলে ফটোগুলো চেক কর। হয়তো চোরের ছবি পেয়ে যাবি”। মজা করে বলাই কথা যে সত্যি হয়ে যাবে ভাবেননি তখন জ্যাকরিডজ। কারণ, এরপর জ্যাক মোবাইলের গ্যালারি খুলে যা দেখেছিলেন, তাতে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেননি। কারণ মোবাইল জুড়ে শুধুই বাঁদরের ছবি। বিভিন্ন মুখভঙ্গির সেলফি। এমনকি এক বাঁদর ফোনটিকে খেতেও গিয়েছিল। ছবিতে ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। আশ মিটিয়ে ছবি তোলার পর বাঁদররা ফোনটিকে ফেলে দেয় অথবা তাদের হাত থেকে পড়ে যায়।

আরও পড়ুন : গাছের সঙ্গে বিবাহ বার্ষিকী! ব্রিটেনের মহিলার কাণ্ডে অবাক বিশ্ব

বাঁদরের এই কীর্তিকলাপ শেয়ার করেছেন মালয়েশিয়ার ওই পড়ুয়া।এই ঘটনা শুনে ও ছবি দেখে সকলেই হতবাক।বাঁদর এমনিতে অত্যন্ত বুদ্ধিমান। মানুষকে অনুকরণের নজিরও তাদের রয়েছে। তবে মোবাইলটা খাবার ভেবে নিয়ে গিয়ে এদিক-ওদিক টাচ করার সময় তাদের ছবি উঠেছিল, নাকি তারা অন্য কাউকে সেলফি তুলতে দেখে এ কাজ করেছিল, তা অজানা।
