Wednesday, December 3, 2025

স্বেচ্ছা ঋণখেলাপিদের থেকে টাকা ফিরবে কী করে প্রশ্ন মন্ত্রীকে!

Date:

Share post:

ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা নিয়ে ব্যবসা করে, ঋণ ফেরতের সময় গা ঢাকা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে ক্রমশই বাড়ছে এই সমস্ত ঋণখেলাপির সংখ্যা যাদের সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ঋণের টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকছে না। এই সমস্ত ঋণখেলাপিদের সংখ্যা কত, তাদের থেকে টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে কেন্দ্র কী ভাবছে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর তাতেই কেন্দ্রের অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর জানাচ্ছেন CRILC (সেন্ট্রাল রিপোসিটারি অফ লার্জ ক্রেডিট)-এর তথ্য অনুযায়ী  রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক মিলিয়ে শেষ আর্থিক বছরে উইলফুল ডিফলটার অর্থাত্ ঋণ শোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যিনি দেননি এমন ঋণখেলাপির সংখ্যা ২১৯।আর তাঁদের জন্য ব্যাঙ্কগুলির ক্ষতির অঙ্ক ১২ হাজার ৩৩৮ কোটি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এই ২১৯-জনের মধ্যে কি নীরব মোদি থেকে মেহুল চোকসি ও বিজয় মালিয়ারা আছেন? কারণ শিল্পপতি বিজয় মালিয়ার কাছেই ভারতের ব্যাঙ্ক পায় ৯০০০ কোটি টাকা। আর নীরব মোদি-মেহুল চোকসিকে মেলালে টাকার অঙ্ক প্রায় ১৩ হাজার কোটি। সুতরাং উইলফুল ডিফল্টার বা স্বেচ্ছা ঋণখেলাপি হিসেবে তিন জনের কাছ থেকে না-পাওয়া টাকার অঙ্ক গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার কোটিতে।

আরও খবর :যৌন হেনস্থায় অভিযোগ অনুরাগের বিরুদ্ধে, মুখ খুললেন পরিচালকের প্রাক্তন দুই স্ত্রী

এই টাকা কীভাবে পুনরুদ্ধার হবে তারও নির্দিষ্ট রূপরেখা মেলেনি। বিভিন্ন রাষ্ট্রয়ত্ত ও বেসরকারি ব্যঙ্ক ও পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণবাবদ কত টাকা ফেরত পায় তারই উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাতেই প্রতিমন্ত্রী জানান, আরবিআই, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট অনুযায়ী ফ্রেব্রুয়ারি ২০১৯ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অনাদায়ী ঋণের অঙ্ক প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী ১০, ১০৭ কোটি টাকা গত তিন বছরে তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ঋণের টাকা পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে বেসরকারি ব্যাঙ্কের তথ্য আরবিআই-এর হাতে নেই।

২০১৫ সালে আরবিআই-এর সার্কুলার অনুযায়ী উইলফুল ডিফলটার তাঁরা যাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ফেরত দেয়নি। যে সম্পত্তি দেখে সে সময় ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়েছিল, হয় সেগুলো তারা গোপনে বিক্রি করেছে, নয়তো অন্য কৌশলে সরিয়ে ফেলেছে। টাকা শোধের নামে মোটা টাকা নিয়ে পালিয়েও গিয়েছে এমন ব্যাবসায়ীও রয়েছে বহু।

গত তিন বছরে যদি স্বেচ্ছা ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়ে থাকে, তাহলে সেই সংখ্যা কত, ঋণখেলাপিদের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণের কথাও জানতে চাওয়া হয়। তাদের থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা কত প্রশ্ন করা হয় মন্ত্রীকে।

তাদের থেকে কীভাবে টাকা উদ্ধার হবে তার সদুত্তর মেলেনি।এই সমস্ত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে।সিবিআইও এই ধরনের প্রতারণার তদন্ত করেছে।সিবিআই এর কাছে ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যাঙ্কের তরফে ৫১২টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২৬৯টি মামলার শুনানি চলছে।

spot_img

Related articles

এসআইআর আতঙ্কে তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী গৃহবধূ! হাওড়ায় অসুস্থ বিএলও

এসআইআর সংক্রান্ত চাপে একই দিনে দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল রাজ্যে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ, অন্যদিকে...

স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্পে তিন সপ্তাহে পরিষেবা পেলেন এক লক্ষের বেশি মানুষ, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় আরও এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করল স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্প। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রকল্পের শিবিরগুলিতে চিকিৎসা...

বাংলার পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ রিচা ঘোষের: নাম লেখালেন দীপ্তির পাশে

নিয়োগ পত্র আগেই পেয়েছিলেন। বুধবার পুলিশের উর্দি পরে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রিচা ঘোষ। না, এটা ক্রিকেটের জার্সিতে উইকেট...

আদালতের রায়ে বহাল ৩২ হাজার প্রাথমিক নিয়োগ, হাইকোর্ট চত্বরে অকাল হোলিতে মাতলেন শিক্ষকরা

দীর্ঘ দু’ বছর ধরে লড়াই, অনিশ্চয়তা আর সামাজিক উপহাস—সবকিছু কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।...