গান্ধী জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্য সংবিধান বিরোধী কাজ করছে বলে তোপ দাগেন তিনি। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিল্পীর ভঙ্গিতেই তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালের আগে একটা ‘নৈ’ বসানো উচিৎ।’’

এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রাজ্য ভাবছে টাকা আটকে রাজভবনকে পঙ্গু করা হবে। এই ধারণা একেবারেই ভুল। রাজভবন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।’’ তাঁর বক্তব্য ‘‘আমি কোনও বিরোধ চাই না। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চাই। রাজভবনের সঙ্গে বিবাদ কাম্য নয়। একজোট হয়ে কাজ করা যাচ্ছে না।’’ তাঁর সাফাই, ‘‘আমি কোনও রাজনৈতিক দলের স্টেকহোল্ডার নই। এই নিয়ে কোনও বিবাদ থাকা উচিত নয়।’’

এদিন রাজ্যপালকে একহাত নেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর ভিত্তি করেই সংবিধান তৈরি। সেই সংবিধানের মর্যাদা কীভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে, উত্তর প্রদেশ সহ সারা দেশে সেটা দেখছে। নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে জেলা শাসক হুমকি দিচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের কী বক্তব্য?’’ তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘নিজের পদকে ‘নৈরাজ্যপাল’ করে তুলছেন। দুটি তত্ত্বের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি। এনকাউন্টার এবং গ্রেফতার। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই দলের তত্ত্ব নির্যাতন এবং ধর্ষণ। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যপাল।’’

আরও পড়ুন:পুজোর কথা মাথায় রেখে মেট্রোর সময়ে পরিবর্তন, এবার শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৮টায়
