কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণায় অবদান রাখায় ২০২০ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন ৩ পদার্থবিজ্ঞানী। গ্রেট ব্রিটেনের রজার পেনরোজ, জার্মানির রেইনহার্ড গেনজেল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানড্রেয়া ঘেজ নোবেল জয়ের সঙ্গে রয়েছে বাংলার যোগ।

বাংলার পদার্থবিজ্ঞানী অমল কুমার রায়চৌধুরী। অমল কুমার রায়চৌধুরীই প্রথম ধারণা দেন যে, এককত্বের তত্ত্ব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি তৈরি করেছিলেন রায়চৌধুরী সমীকরণ। চতুর্মাত্রিক জগৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বিবর্তিত হয় সেটার ব্যাখ্যা মেলে এই সমীকরণ থেকে। ১৯৬০-৭০ এর দিকে স্টিফেন হকিং এবং রজার পেনরোজ রায়চৌধুরী সমীকরণের উপর ভিত্তি করেই এই তত্ত্ব গাণিতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থাৎ বাঙালি পদার্থবিদের সমীকরণই পেনরোজ এবং স্টিফেন হকিং একাকত্বের তত্ত্বগুলির প্রমাণের মূল বিষয়বস্তু ছিল।

আইনস্টাইনের তত্ত্ব থেকে ধারণা পাওয়া যায় বিশ্বজগতের কোনও এককত্ব নেই। এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়া যায় রায়চৌধুরী সমীকরণ থেকে। তাকেই মূল মন্ত্র করে এগিয়েছিলেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী রজার পেনরোজ। তিনি প্রমাণ করেলেন ব্ল্যাক হোল হলো আপেক্ষিকতাবাদের সাধারণ তত্ত্বের প্রত্যক্ষ পরিণতি।

১৮২৩ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় অমল রায়চৌধুরীর। ২০০৫ সালের ১৮ জুন মৃত্যু হয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানীর। আশুতোষ কলেজ, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স, তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন অমল কুমার রায়চৌধুরী। রায়চৌধুরী সমীকরণ অনুযায়ী, কোনও ধরনের বলের প্রভাব ছাড়া একটি বস্তু যে পথে চলাচল করে, সেটাকে বলা হয় জিওডেসিক। অমল কুমার রায়চৌধুরী সমীকরণে দেখিয়েছিলেন, কোনও ভারী বস্তুর উপস্থিতিতে তার আশেপাশের জিওডেসিকগুলি বস্তুটির দিকে বেঁকে যায়। এটাই মহাকর্ষের আকর্ষণধর্মীতার ব্যাখ্যা দেয়।

আরও পড়ুন:শিক্ষামন্ত্রীর জন্মদিনে ‘স্পেশাল ছবি’, ভাইরাল স্যোশাল মিডিয়ায়
