সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাকে দ্রুত রসদ পৌঁছে দিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কোমর বেঁধে নেমেছে ভারত। গত কয়েক মাসে দীর্ঘতম ব্রিজ, দীর্ঘতম টানেল সহ সীমান্তবর্তী এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন নজরে পড়েছে। এই সব কিছুর মাঝেই পাকিস্তান আর চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নির্মিয়মাণ ৪৪ টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। একইসঙ্গে চিন ও পাকিস্তানকে দিলেন মুখের মত জবাবও। সেনাবাহিনীর সুবিধার্থে সীমান্তবর্তী এলাকায় একত্রে এতগুলি সেতুর উদ্বোধন নিশ্চিত ভাবেই বড় পদক্ষেপ ভারত সরকারের।

বিগত কয়েক মাস ধরে চিনের সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে রীতিমত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতের। ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানও। এই দুই দেশের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সমস্ত এলাকার উন্নয়নে কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার। জানা গিয়েছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) এই ৪৪টি সেতু তৈরির দায়িত্ব ছিল। এই সেতু গুলির বেশিরভাগটাই চিন সীমান্তবর্তী অঞ্চল লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম এবং উত্তরাখণ্ডে। পাশাপাশি কিছু রয়েছে পাক সীমান্তবর্তী পঞ্জাব, জম্মু কাশ্মীর এলাকায়। বিআরও-র তরফে এদিন জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই সেতু গুলি অস্থায়ী সেতু ছিল। এগুলিকেই স্থায়ী রূপে পরিণত করা হয়েছে। এর ফলে ওই সমস্ত এলাকার দায়িত্বে থাকা ভারতের সশস্ত্র সেনাবাহিনী সুবিধা লাভ করবে।

এদিকে সোমবার একত্রেই ৪৪ টি সেতুর উদ্বোধন করার পাশাপাশি চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, আগে ছিল পাকিস্তান। এখন তার সঙ্গী হয়েছে চিন। সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশ একই নীতিতে চলছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও সমস্যা তৈরি করছে। অথচ এই দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের ৭ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সমস্ত রকম সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। আগামীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘গান্ধী হত্যাকারী গডসে মাউন্টব্যাটেনের এজেন্ট’, একি বললেন বিজেপি সাংসদ!
পাশাপাশি এদিন ব্রিজ তৈরিকারী ভারতীয় সংস্থা বিআরও-র প্রশংসা করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, সমস্ত রকম প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে সীমান্ত এলাকায় লাগাতারভাবে কাজ করে চলেছে বিআরও। সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকার ব্যাপকভাবে বাজেট বৃদ্ধি করেছে। ৬ বছর আগে যেখানে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকত সেটাই এখন করা হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এতগুলি ব্রিজ তৈরির ফলে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সেনার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
