হাইকোর্টের রায়ে খুশি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্যোক্তারা

করোনা আবহে এবার দুর্গাপুজো প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শন নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ ও শর্তাবলী আরোপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে এবার মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শকদের “NO ENTRY”. অর্থাৎ, কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের পুজো এবার কার্যত দর্শকহীন। প্রসঙ্গত, কলকাতার বুকে এমন ভাবনা সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে এনে দর্শকহীন পুজো করার মতো সাহসী ও বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। ফলে হাইকোর্টের এই রায়কে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি নিজেদের ভাবনার জয় বলে মনে করছে কলকাতার অন্যতম বড় ও জনপ্রিয় পুজোর কর্মকর্তারা। “হেঁটে নয়, নেটে”, মহামারী আবহে সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার অনেক আগেই তাদের পুজোর এমনটাই ট্যাগ লাইন বানিয়েছে। এদিন হাইকোর্টের রায়ে কার্যত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের বৈপ্লবিক ভাবনাতেই পরোক্ষে সিলমোহর পরলো বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির তরফে হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ের পর বলা হয়েছে, “আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই, জনস্বার্থে মানুষের কথা ভেবে আমরা যে কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা সঠিক এটা প্রমাণিত।” পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ তাঁর প্রতিক্রিয়াতে জানিয়েছেন, “সেরার সেরা উপাধি পাওয়ার লড়াই হবে আগামী বছর, এবছরের পুজো হোক মানবতার। সমস্ত পুজোপ্রেমী মানুষের কাছে আবেদন এবারের পুজোটা হোক পাড়ার, এবছরের পুজোটা হোক একাত্মতার।” সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এমন সাহসী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতে তাদের পুজো প্রাঙ্গণে গিয়েছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার।

আরও পড়ুন- ভাগ্যের পরিহাসে করুণ অবস্থা রানু মণ্ডলের, বাসি ভাত খেয়ে কাটছে দিন