ভাগ্যের পরিহাসে করুণ অবস্থা রানু মণ্ডলের, বাসি ভাত খেয়ে কাটছে দিন

রানাঘাটের রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়েছিল সফরটা। ‘ইয়ে পেয়ার কা নাগমা হ্যায়’, তার গানে মুগ্ধ হয়েছিল বহু মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যম, সমস্ত জায়গায় তখন রানু মণ্ডল। রাতারাতি বিখ্যাত লতা কন্ঠী রানু মণ্ডলের গান শুনে মুগ্ধ হন বলিউডের সংগীতপরিচালক হিমেশ রেশমিয়া। রানাঘাট থেকে তারপর সোজা বলিউড। এক স্বপ্নের উড়ান। ঠিক যত দ্রুত তাঁর উত্থান ঘটে ততটাই দ্রুত ঘটে পতন। রানু মণ্ডল ফের ফিরে গিয়েছেন তাঁর অতীতের জীবনে। শোনা যায়, এখন আর ঠিকমতো খাওয়াও জোটে না তাঁর।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রানু মণ্ডল নিজের অসহায় অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। একদা সংগীতশিল্পী বলেন, এখন আর কেউ আসে না তাঁর কাছে। আসে না জলসায় গান গাওয়ার অনুরোধ। বলিউড তো অনেক দূর। সকালে বাসি ভাত খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাকে। অনাহারে ভেঙেছে শরীর। রানু বলেন, তাঁর এই দুর্ভাগ্যের জন্য তিনি মাঝেমধ্যে গালিগালাজ করেন ভগবানকে। তখন আবার মানসিক শান্তি পান তিনি। গানের রেওয়াজ এখন অতীত। কোনওমতে তাঁর দিন কাটছে দয়া-দাক্ষিণ্যের উপর। এখন কি আর হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ আছে? প্রশ্নের উত্তরে রানু বলেন, হিমেশের সঙ্গে আগে তাঁর কথা হত। তবে বর্তমানে তপনের কাছে তাঁর নম্বর আছে। কিন্তু সরাসরি সেই ভাবে কথা হয়নি তাঁর। তবে রানু মণ্ডল যে অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তা তাঁর পরিস্থিতি দেখলে বুঝতে বিশেষ কষ্ট হয় না।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ ১১

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা সময় রালু মন্ডলের গান শুনে নেটিজেনরা আপন করে নিয়েছিল তাঁকে। ঠিক যেভাবে আপন করে নিয়েছিল, কার্যত সেভাবেই ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে রানুকে। এর পেছনে কারণ অবশ্য রানুর আত্ম অহংকার। যে অতীন্দ্র চক্রবর্তী তাঁকে প্রথম দিশা দেখিয়েছিল। তার সৌভাগ্যের দরজা খুলে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর প্রতি কোনওরকম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি রানু মণ্ডলকে। তাছাড়াও নানাবিধ কারণে রানুর প্রতি বিরক্ত হতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। ফলস্বরূপ ঠিক যেখান থেকে রানুর উত্থান হয়েছিল আবার সেখানেই ফিরে গেছেন তিনি।

Previous articleকরোনা আক্রান্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ ১১
Next articleপুজো প্যান্ডলে বাংলা গান বাজানোর আবেদন বাংলা পক্ষের