মারণ করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির আপাতত একটাই পথ ‘ভ্যাকসিন’। আর সেই ভ্যাকসিনের খোঁজে দিনরাত এক করে ফেলছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের একাধিক দেশের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল’ চলছে ভারতে। তবে ভ্যাকসিন এলেই তো হল না, ১৩০ কোটির দেশ ভারতে ভ্যাকসিন বন্টনের বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আগেভাগে প্রস্তুত না হলে মুখ থুবড়ে পড়বে গোটা পরিকল্পনা। ফলস্বরূপ দেশব্যাপী কীভাবে ভ্যাকসিন বন্টন করা হবে তার জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সরকার। পরিকল্পনা চলছে করোনা ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার কারা পাবেন। এরই মাঝে সূত্র মারফত জানা গেল ভ্যাকসিনের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে সরিয়ে রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার।

যার অর্থ ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে গেলে ভারতবর্ষের ১৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে খরচ হবে ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ১৪৭ টাকা। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সূত্রের খবর, এই অর্থমূল্য ধার্য করা হয়েছে চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সংবাদমাধ্যমের দাবি ৬ থেকে ৭ ডলার অর্থাৎ ১৪৭ টাকা খরচ করে মোট পাওয়া যাবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। অর্থাৎ ভর্তুকির অর্থ তুলে রেখে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন বন্টনের রূপরেখা তৈরি করতে।

আরও পড়ুন: লালু বেরোবেন ৯ নভেম্বর, পরদিন নীতীশের বিদায়, খোঁচা তেজস্বীর

প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিন হাতে আসার পর তা বিনামূল্যে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছে দিতে সরকার একেবারে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই আবহে গত মঙ্গলবার নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য রাত দিন এক করে কাজ করছেন দেশের বিজ্ঞানীরা। একই সঙ্গে যতদিন না ভ্যাকসিন আসছে ততদিন পর্যন্ত এই উৎসবের মরশুমে মানুষকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
