সংরক্ষণের দাবিতে উত্তাল রাজস্থান। গুর্জর সম্প্রদায়ের দাবি, শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। এই দাবিতে রেল এবং সড়কপথ অবরোধ করে রাজস্থানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গুর্জররা। ইতিমধ্যে প্রায় ১২টি ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগ্রা-জয়পুর বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে পশ্চিম রেলের রাজস্থান-উত্তরপ্রদেশ রুটের রেল চলাচল।

জয়পুর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ভরতপুরে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিজয় বইন্সলা বলেন, “বেকারত্ব বেড়েছে। ২৫ হাজার নিয়োগ আটকে আছে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। সরকারকে ব্যবস্থা করতে হবে।”

২০০৭ সাল থেকে সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে গুর্জর সম্প্রদায়। সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ আবার দুটো ভাগে ভাগ হয়ে যায়। হিম্মত সিং গুর্জরের নেতৃত্বে সংরক্ষণ কমিটি কাজ করে। অন্যদিকে আরেকটি সংগঠনের নেতৃত্ব দেন বিজয় বইন্সলা। শনিবার রাজস্থান সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয় হিম্মত সিংদের। ৭ ঘণ্টার ওই বৈঠকের রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহমত হয়েছে তারা। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় অন্য সংগঠন।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে অন্তত ৩ বার সংরক্ষণের নিয়ম বদল করেছে সরকার। ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি বিল পাশ করে রাজস্থান সরকার। যেখানে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ২১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৬ শতাংশ করা হয়। ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে গুর্জর ছাড়াও আরও ৪টি অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণের অনুমোদন দেয় সরকার। নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর অনগ্রসর শ্রেণির জন্য নির্ধারিত ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়গুলি পৃথকভাবে ১ শতাংশ সংরক্ষণ পায়।

আরও পড়ুন:অভিযোগ নয়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মহিলারা ধর্ষিতা হলে আত্মঘাতী হন, বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা
