বাড়ি থেকে উদ্ধার মারিজুয়ানা। গ্রেফতার করা হল বলিউড প্রযোজক ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালার স্ত্রীকে শাবানা সৈয়দকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, এদিন সকাল থেকে মুম্বাইয়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মাদক যোগের পর থেকেই উঠে আসতে থাকে একের পর এক কলাকুশলীর নাম। জেরা করা হয় বেশ কয়েকজনকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষস্তরের কয়েকজন অভিনেত্রী। সেই সূত্রেই, কয়েকদিন আগেই ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালাকেও সমন পাঠিয়েছিল এনসিবি। এক ড্রাগ-কারবারী এনসিবির হাতে আসার পর থেকেই প্রযোজককে চোখে চোখে রেখেছিলেন গোয়েন্দারা। মুম্বইয়ের বিলাসবহুল এলাকায় তাঁদের বাড়িতে তল্লাশির কথাও বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- উচ্চ আদালতের যুগান্তকারী রায়; মায়ের সেবার শর্তে মাদক মামলার আসামীর কারামুক্তি

এদিন ভারসোভা, গোরেগাঁও ও নবি মুম্বইতে তল্লাশি চালায় এনসিবি। ফিরোজ ও শাবানার জুহুর বাড়িতেও গিয়েছিলেন তারা। সেখান থেকেই ১০ গ্রাম মারিজুয়ানা উদ্ধার করা হয়। কয়েকদিন আগে ধৃত ড্রাগ কারবারির ওয়াহিদ আবদুল কাদির শেখ ওরফে সুলতানের কাছ থেকেই সেটি শাবানা কিনেছিলেন বলে জানতে পেরেছে এনসিবি। এনসিবির এক অফিসারের দাবি, ‘এদিন তল্লাশি চালিয়ে ৬ কিলোগ্রাম মারিজুয়ানা ও মেফেড্রোন (MD) উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলি ব্যবসার জন্যেই মজুত করা হয়েছিল।’
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শাবানা-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। NDPC অ্যাক্টে শাবানাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁর জবানবন্দি নিয়েছেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, শনিবার এক কারবারীকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করেই প্রযোজকের খোঁজ পায় তদন্তকারীরা। রবিবার সকাল থেকেই মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ড্রাগ চক্রের ঘটনায় তল্লাশি করে এনসিবি। তল্লাশি চালানো হয় মালাড, আন্ধেরি, লোখন্ডওয়ালা, খরঘর ও কোপারখৈরানেও।

আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে দলে সবাই ভালোবাসে, ও তৃণমূল পরিবারের সদস্য! তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সাংসদের
