শুভেন্দুকে দলে সবাই ভালোবাসে, ও তৃণমূল পরিবারের সদস্য! তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সাংসদের

তাহলে কি এবার সব গুঞ্জনের অবসান ঘটবে? ১০ নভেম্বর রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সেজে উঠছে নন্দীগ্রাম। সেখানে সমাবেশে প্রধান বক্তা স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি, প্রচার। হোডিং-ব্যানার-ফেস্টুনে দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দুর ছবি লাগিয়ে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে যা অনেক জল্পনায় জল ঢালার জন্য যথেষ্ট। এবার তাকিয়ে থাকতে হবে ১০ই সমাবেশের দিকে। শুনতে হবে শুভেন্দুর ওই দিনের বক্তব্য। তাহলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

কিন্তু তার আগে আজ, রবিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে শুভেন্দু নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের আইনজীবী সাংসদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা জল্পনার পর্যায় থাকবে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। শুভেন্দু তৃণমূল পরিবারের সদস্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “শুভেন্দু দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ও যাই করুক না কেন তৃণমূলেই রয়েছে। দলের নেত্রী থেকে নেতা-কর্মী সবাই আমার শুভেন্দুকে খুব ভালবাসি।”

এখানেই শেষ নয়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, “শুভেন্দু যাই জনসভাই করুক। যে কর্মসূচি নিক, তাতে আসলে তৃণমূলেরই লাভ। কারণ, সে তো তৃণমূলেরই। তাছাড়া শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দুর সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই এটুকু বলতে পারি।”

আরও পড়ুন- কমলের হয়ে ভোট প্রচার করা ‘কম্পিউটার বাবা’ গ্রেফতার, আশ্রমে চলল বুলডোজার

সম্প্রতি, শুভেন্দু বেশ কয়েকটি অরাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেওয়ায় তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের, তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, তিনি নতুন দল গড়তে পারেন ইত্যাদি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু কোনও ইঙ্গিতও দেননি। দলের কারও সম্পর্কে কোথাও কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি। এমনকি, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথাও হয় বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে। আবার নন্দীগ্রামে সভার আগে প্রচারে তাঁর সঙ্গে একই ফ্রেমে ছবি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গোটা অধিকারী পরিবারও যে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে সেটা স্পষ্ট করে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তথা শুভেন্দুর বাবা শিশিরবাবু।

সবমিলিয়ে অতি সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আবার সব জল্পনায় জল ঢালার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। তার গতিপথ কখন এক পথে প্রবাহিত হয় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী তা সর্বদা পরিবর্তনশীল। ফলে আগামী কী ঘটবে তা সহজেই অনুমেয় নয়। ফলে রাজনীতিতে অন্তত পার্টি গণিতের ফর্মুলায় সব সময় দুই দুইয়ে চারের সমীকরণ মেলে না।

আরও পড়ুন- দিলীপ বললেন মেরে শ্মশানে পাঠাব, পাল্টা কল্যাণের জবাব আমরা চুড়ি পরে নেই

Previous articleLAC বিবাদ: অষ্টম বৈঠকেও অধরা সমাধানসূত্র, ফের আলোচনায় বসবে ভারত-চিন
Next articleপ্রসঙ্গ: বাংলার বিধানসভা ভোট, সোমবার কলকাতায় সর্বদল বৈঠকে নির্বাচন কমিশন