ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ যখন ব্যাপক আকার নিয়েছে ঠিক সেইসময় এক ভারতবিরোধী কাণ্ড করে বসে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম টুইটার। যার জেরে এবার বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে হল জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমকে। দেশবিরোধী এই পদক্ষেপের জন্য সম্প্রতি টুইটারকে জবাবদিহি করেছে কেন্দ্র। কেন টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৯ নভেম্বর ওই সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে সরকার।

ঘটনার সূত্রপাত মাস খানেক আগের। এক সাংবাদিক লাদাখের লেহতে একটি ঘটনা দেখে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে যান। লাদাখে তিনি ভিডিও করতে গেলে দেখা যায়, লাদাখের লেহ-এর জিও লোকেশনে বলা হচ্ছে, লেহ চিনের অংশ। আরও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয় লেহ ‘পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না’র অধীন। ঘটনাটি দেখে তৎক্ষণাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে ওঠেন ওই সাংবাদিক। টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেন কেন্দ্রের কাছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। যৌথ সংসদীয় কমিটি তরফে টুইটারকে নোটিশ পাঠানো হয়। এবং অবিলম্বে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়।

আরও পড়ুন:বঙ্গে বাম-উল্লাস নেহাতই স্ট্যাণ্ড-আপ কমেডি, কণাদ দাশগুপ্তর কলম
তবে টুইটারের তরফে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয় সে ব্যাখ্যায় খুশি ছিল না কমিটি। সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি সাফ জানান, টুইটার যে কারণ দেখিয়েছে, তাতে খুশি নন তারা। সংসদীয় কমিটি এরপরই সাফ জানায় টুইটার যা করেছে তা ফৌজদারি অপরাধের আওতায় আসে। এতে ৭ বছরে সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্য হয় আসামীর। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে টুইটারকে অন্যথায় ওই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে কেন্দ্র।
