মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব তুলে দেবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোপ নামতে পারে তাঁর উপর। ট্রাম্প ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাওয়ার পরই নাকি তাঁকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। টুইটারে লাগাতার মিথ্যে তথ্য ছড়ানোর অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে এই কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন টুইটারের এক মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের অতিমারি নিয়ে শুরু থেকেই নানা মিথ্যাচার করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর পরস্পরবিরোধী বহু মন্তব্যে জনমানসে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অভিযোগ, টুইটারকে এইসব মিথ্যাচার প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে লাগাতার কারচুপির অভিযোগ তুলে টুইটারে নানা মিথ্যা দাবি করেছেন ট্রাম্প। এবং কোনও দাবির সপক্ষেই নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি। টুইটারে করা ট্রাম্পের দাবিগুলি নির্বাচনী কর্মকর্তারা তো বটেই মার্কিন বিচারবিভাগও প্রত্যাখ্যান করেছে।

নানা সময়ে বিতর্ক তৈরি করা ট্রাম্পের দাবিগুলি এতটাই ভিত্তিহীন ছিল যে, টুইটার কর্তৃপক্ষকে তার সত্যতা যাচাই করতে নোটিশ দিতে হয় এবং নির্দিষ্ট টুইটের ওপর সতর্কতার লেবেল লাগাতে বাধ্য হতে হয়। কিন্তু এরপরেও পুরোপুরি ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি টুইটার। তার কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন টুইটারের ওয়ার্ল্ড লিডার পলিসির আওতায় পড়েছেন ট্রাম্প। এই রক্ষাকবচ থাকাতেই এতদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি টুইটার। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেশ কিছু টুইটে সতর্কতা চিহ্ন লাগিয়ে দিয়ে সেগুলি গোপন করে রাখে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তারপরও থামেননি ট্রাম্প। বিতর্কিত ও প্রমাণহীন মিথ্যাচার চালিয়েই গিয়েছেন।

আরও পড়ুন:বিভাজনের রাজনীতির ফসল তুলে হায়দরাবাদে ৪ থেকে ৪৮ হল বিজেপি
অবশেষে ২০ জানুয়ারির পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে টুইটার। কারণ তখন আর ওয়ার্ল্ড লিডার পলিসির সুবিধা পাবেন না তিনি। একজন সাধারণ নাগরিকের মত তাঁকেও টুইটারের সমস্ত নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।
