Thursday, August 28, 2025

হিম্মত থাকলে চলুন এই ‘দু পয়সার নেত্রী’কে সব সংবাদমাধ্যম বয়কট করি, অভিজিৎ ঘোষের কলম

Date:

Share post:

অভিজিৎ ঘোষ

মহুয়া মৈত্র। সাংসদ। তাঁর ‘দু পয়সার সাংবাদিক’ মন্তব্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ক্ষুব্ধ। স্বাভাবিক। কাণ্ডজ্ঞানহীন, অনৈতিক, অপমানজনক মন্তব্য। অযথা অন্যকে ছোট করার মানসিকতা। সমস্যা হচ্ছে, সংবাদ মাধ্যমে অনেকেই নানা মন্তব্য করছেন। সহমর্মিতা দেখাচ্ছেন। কিছু ব্যক্তিগত ভাবে, কিছু সমষ্টিগতভাবে। কিন্তু আসল সমস্যার সমাধানে কেউই ঢুকছেন না, কিংবা জেনেও ঢুকতে চাইছেন না।

 

সমস্যা হলো, মহুয়াকে এখনও সাংবাদিকূল সহ্য করছেন কেন? আমরা দেখলাম, প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই প্রতিবাদ গায়ে মাখে না মাথায় দেয় কে জানে! প্রেস ক্লাবের কিছু কিছু বিষয়ে মাঝে মধ্যে বিবেক জাগ্রত হয়। দু’একটা প্রতিবাদ হয়, ঘটা করে মিছিল হয় কখনও সখনও। সাংবাদিকদের বিনা নোটিশে ছাঁটাই করলে, কিংবা অফিসে এসে কার্ড পাঞ্চ করার সময়ে সাংবাদিক যখন জানতে পারেন তাঁর চাকরি নেই, সে নিয়ে আমরা একবারও মিছিল করি না, প্রতিবাদ করি না। চাকরি চলে যাওয়ায় আত্মহত্যা করলেও আমাদের বিবেকে দংশন হয় না। কারণ, সেগুলো বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে বলব না। কে জানে কবে আমাকেই যদি সেখানে ইট পাততে হয়! এই দ্বন্দ্বে ভুগে লোক দেখনো প্রতিবাদ। ফলে মহুয়ারা বলে যান, আর আমরা তা সহ্য করেনি। সব আসলে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যস্ত।

আমরা যারা এই পেশায় আছি, যে যেখানে আছি, তারা যদি এ নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত না নিই, তাহলে আগামিদিনে আর একজন এই কথা বলার সাহস দেখাবেন। যদি উচিত শিক্ষা দিতে হয়, তাহলে সমস্ত হাউসের কর্তাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত মহুয়া মৈত্রকে বয়কট করা। আগামিদিনে মহুয়ার কোনও খবর কোনও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হবে না। যতক্ষন না লিখিতভাবে মহুয়া সকলের কাছে ক্ষমা চাইবেন, ততদিন এই বয়কট চালানো উচিত। ট্যুইটারে ঘুরিয়ে মাফ চাওয়া নয়, বাংলা ভাষায় তিনি প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করেছিলেন। এবার মহুয়াকেই ওই বাংলা ভাষাতেই ক্ষমা চাইতে হবে। ভুল স্বীকার করতে হবে। বলতে হবে আগামিদিনে এ ধরণের কোনও মন্তব্য আর তিনি করবেন না। সাংবাদিকূলের হিম্মত থাকলে নিজের নিজের প্রতিষ্ঠানকে বলুন, বোঝান এবং সিদ্ধান্ত নিন। তাহলেই উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে এই ‘দু পয়সার নেত্রী’কে। নইলে আজ মহুয়া এই মন্তব্য করেছেন, কাল অন্য আর একজন নেতা বলার সাহস পেয়ে যাবেন। আর আমরা একটি লিখিত বিবৃতি লিখে দায়িত্ব পালনের নাটক করে যাব।

পারলে দু পয়সার নেত্রীকে চলুন বয়কট করি। কিন্তু দুঃখের কী জানেন, আমরা আমাদের পেশাতেই জোটবদ্ধ নই। ফলে এমন আশা করাটা যে অরণ্যে রোদন হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। কারণ, এই সব দু পয়সার নেতা-নেত্রীরা আমাদের হিম্মতও বুঝে গিয়েছেন!

আরও পড়ুন-বনধে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা নেই

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...