ভোটের মুখে বিষ ছড়ানোর খেলা শুরু করে দিল বিজেপি (BJP)। সরাসরি উস্কানিমূলক প্রচার শুরু হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (BJP State president Dilip Ghosh) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই প্রচার। এই পোস্টটি তিনি নিজে করেছেন, না তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যিনি দেখেন, তিনি করেছেন, তা জানা যায়নি। তবে পোস্টটি যে প্ররোচনামূলক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পোস্টটিতে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাদেশের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ (Joy Bangla) ব্যবহার করছে। কয়েকটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রিকেটার বা অভিনেতাদের দেখা গিয়েছে। আর সেটাকেই হাতিয়ার করে পোস্টে লেখা হয়েছে, গ্রেটার বাংলাদেশ গড়াই লক্ষ্য তৃণমূলের।

প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন পোস্ট? আসলে রাজ্যের উন্নয়ন আর একের পর এক প্রকল্পে কেন্দ্রের খাতায় পশ্চিমবঙ্গের প্রথম হওয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির বলার কিছু নেই। ‘স্বাস্থ্য সাথী’ (Sasthya Sathi) থেকে ‘দুয়ারে সরকার'(Duare Sarkar) উদ্যোগ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার নেই বিজেপির৷ ফলে উস্কানিমূলক প্রচারই আপাতত হাতিয়ার। মেরুকরণ রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছে। ভোট যত এগিয়ে আসবে, এমন প্রচার যে বাড়বে তা অনুমান করা যাচ্ছে।

কী বলছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ? তাঁরা বলছেন, ভাগ্যিস বিজেপি তুলনা টানতে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের কথা টেনে আনেনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ( Rabindranath Tagore) লেখা গান দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Song)। এবার বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ (Amar sonar bangla) গাইলে বলা হবে হয়তো বাংলাদেশের জয়গান করা হচ্ছে! পোস্টটি দেখে অনেকে আবার ব্রিটিশ শাসনকালের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ ( Divide and rule) সর্বনাশা পদ্ধতির কথা বলেছে। তাঁরা বলছেন, এইভাবেই ভাগাভাগির খেলা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

আর তৃণমূল কংগ্রেস সাফ বলছে, প্রচারে কোনও হাতিয়ার না থাকায় বিভেদমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে, উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। বাংলার মানুষই প্রতিবাদ করবেন। দলমত নির্বিশেষে তাঁরা এই প্রচার মেনে নেবেন না। কেউই এই উস্কানিতে পা দেবেন না।
