খেলা অত সহজ নয়, আমি গোলরক্ষক: চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা

এবার “খেলা হবে” স্লোগান শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোত মুখে। বৃহস্পতিবার, আলিপুরের ‘উত্তীর্ণ’তে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-সহ ধর্মীয় সংগঠনের সম্মেলনে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল (Tmc) নেতাদের মুখে প্রথমে খেলা হবে স্লোগান শোনা গিয়েছিল। সেটা থেকে স্লোগান যায় বিজেপি (Bjp) নেতৃত্বের মুখে। এমনকী, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের আগে বাম ছাত্র-যুবরাও খেলা হবে স্লোগান দেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই স্লোগান দিলেন। তিনি বলেন, খেলা হলে তিনি গোলরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। বিপরীতে থাকবে বিজেপি-সিপিআইএম-কংগ্রেস (Cpim-Congress), তৃণমূল নেত্রীর কথায় জগাই-মাধাই-গদাই। তিনি একাই সব গোল রুখে দেবেন বলে মন্তব্য করেন মমতা।

এদিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কদর্য ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অমিতের ‘দৈত্যপরায়ণ’ দেখলে মনে হয়, যেন শারীরিক ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এ সব ভাষা মানায় না।’’

এদিনের সভা থেকে অমিত শাহর (Amit Shah) মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘দিদি গলা কেটে দেবে। তাও আপনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।’’ বিজেপি নেতৃত্ব ইদানীং মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Benarjee) আক্রমণ করেন। এদিন প্রসঙ্গ তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘খালি বুয়া-ভাতিজা? আপনার ছেলে কী করে? কী করে এত টাকা এল?’’
বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বলে এদিন আশা প্রকাশ করেন অমিত শাহ। তৃণমূলনেত্রী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে।’’ এরপরেই ব্রিগেডে ‘খেলা’র আহ্বান জানান মমতা। “ব্রিগেডে এক দিকে জগাই, মাধাই আর গদাই, অন্য দিকে আমি। আমি গোলরক্ষক। দেখি আপনারা কটা গোল দিতে পারেন। খেলা অত সহজ নয়।“ অমিতের দিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “দুর্নীতি করেছি প্রমাণ করুন, না হলে পদত্যাগ করুন”।

আরও পড়ুন:শুক্রবার ১২ঘন্টা বাংলা বনধের ডাক দিল বামেরা

Advt

Previous articleক্ষমতায় এসেই ঠাকুরনগরের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা অমিতের, আশঙ্কায় মতুয়ারা
Next articleযৌন হেনস্থা করেও বহাল শিক্ষক, বাতিল হতে পারে বিদ্যাসাগর কলেজের স্বীকৃতি