বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে আহত যুবনেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দাকে চোখের জলে শেষ বিদায় জানালেন কোতুলপুরের গ্রামবাসীরা। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজনীতি। মইদুলের মৃত্যুর ঘটনায় জেলায় জেলায় মঙ্গলবার বামেদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে।

এদিকে মইদুলের স্ত্রী-মেয়েসহ পরিবারের সকলেই এখন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী প্রশাসনের কর্মীরা এসে তাঁদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করুক। পরিবারের লোকেরা বলছেন যতক্ষণ প্রশাসনের লোকেরা এসে চাকরির ব্যবস্থা করছেন বা লিখিত আশ্বাস দিচ্ছেন, ততক্ষণ সমাধিস্থ করা হবে না মইদুলের দেহ।

আরও পড়ুন-মিঠুনের বাড়িতে মোহন ভগবত, ‘আমাদের অন্তরের যোগ রয়েছে’ বললেন অভিনেতা

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নিলেও চাকরির জন্য শর্ত রাখলেন মৃত DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার স্ত্রী আলেয়া বিবি। সঙ্গে দাবি করলেন,দোষীদের কঠোর শাস্তির। কোতলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মিদ্দা পেশায় অটো-টোটো চালক ছিলেন। তাঁর রোজগারেই সংসার চলত। আপাতত মিদ্দাকে হারিয়ে পথে বসেছে পরিবার। মিদ্দার স্ত্রী জানিয়েছেন,”অল্প পয়সার চাকরি দিলে চলবে না। পরিবারের সদস্যদের প্রতিপালন করার মতো চাকরি দিতে হবে।”
মইদুলের পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার খবর পেয়েছিলেন মিদ্দা অসুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু কীভাবে অসুস্থ হলেন কিংবা কোথায় চিকিৎসা চলছে তাঁর, কিছুই জানতেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। বামেদের অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা।পুলিশের লাঠি, জলকামানের আঘাতে প্রায় ৪০ জনকে অসুস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বাঁকুড়ার মইদুল ইসলাম মিদ্দা। গুরুতর জখম মিদ্দার লড়াই শেষ হয় সোমবার।
