২৭ মার্চ প্রথম দফার ভোট, ২২ থেকে শুরু পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ

২৭ মার্চ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু।  পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পার্ট ১ এবং পূর্ব মেদিনীপুর পার্ট ১ ভোট গ্রহণ হবে।  প্রথম দফায় ৭৩ হাজার আধা সেনার পাশাপাশি ১১ হাজার ৮১৫ রাজ্য পুলিশ থাকবে নির্বাচন কমিশনের তদারকিতে। তার আগে ২২ মার্চ  থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে।প্রথম দফায় মোট ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোয়ন জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।  প্রথম দফা নির্বাচনের আগে ২৫ মার্চ জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। করোনা  বিধির কথা মাথায় রেখে এই বৈঠক হবে ভার্চুয়াল। উপস্থিত থাকবেন  কমিশনের ফুল বেঞ্চের পাশাপাশি থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে জানতেই এই জরুরি বৈঠক হবে। কীভাবে বাহিনী মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭৭৪ কম্পানি অর্থাৎ ৭৩ হাজার আধা সেনার পাশাপাশি প্রথম দফায় প্রায় ১২ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকেন নির্বাচনের দায়িত্বে। প্রথম দফার ভোটে ১১ হাজার ৮১৫ রাজ্য পুলিশ থাকবে। তার মধ্যে ৮ হাজার ৯২৬ লাঠিধারী পুলিশ,  ৫৪০ সশস্ত্র পুলিশ, ১১২ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী, ১ হাজার ৪৭০ এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ, ৩৬৭ জন মহিলা কনস্টেবল। কমিশন সূত্রে খবর, সেন্ট্রাল ফোর্সের পাশাপাশি কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন পুলিশ পর্যবেক্ষক। সেই প্রশিক্ষণ পর্বে  খাতায় কলমে তাঁদের বোঝানো হবে নির্বাচনের দিনে কোন পরিস্থিতিতে কী ভূমিকা তাঁদের থাকবে। এই শিবির হবে ডিভিশন ভাগ করে। থানার ওসি এবং আইসি থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড লেভেলের কর্মীদের পদমর্যাদা অনুযায়ী এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সোমবার ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণ।

Advt