রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত দুবরাজপুর

প্রতীকী ছবি

তৃতীয় দফার দিনই বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুকে  ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের দুবরাজপুরে।  ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হন গ্রামবাসীরা। এমনকি  মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সময় ওই অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে বাধা দেন তাঁরা । তাঁদের অভিযোগ, নম্বর প্লেটহীন অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ এরপরই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা ও ধস্তাধস্তি। এর জেরে আহত হন এক পুলিশ কর্মী।  এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশি আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রশাসন সূত্রের খবর,  দুবরাজপুরের লোবা গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম প্রতিহার ডোম। বিজেপি কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন তিনি। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রতিহার। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও ঘরে ফেরেননি তিনি। এলাকায় খোঁজখবর করলেও প্রতিহারের কোনও হদিশ পাননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা মাঠে গামছা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মেলে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তখনই আহত হন এক পুলিশকর্মী।

মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবার প্রতিবেশীর সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল প্রতিহারের। তাঁর অভিযোগ, ওই ঘটনার জেরেই মত্যু হয়েছে স্বামীর। যদিও এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতাদের। তাঁদের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে প্রতিহারকে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Advt