শীতলকুচি বিধানসভার(Shitalkuci assembly) জোর পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫/১২৬নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) গুলিতে মৃত্যু হল চারজনের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে তৃণমূলের(TMC) তরফে। অভিযোগ তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির(BJP) হয়ে দালালি করছে।

জানা গিয়েছে, চতুর্থ দফার নির্বাচন চলাকালীন শীতলকুচি বিধানসভার জোর পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫/১২৬নং বুথে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে বিজেপি এই ধরণের অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে। ঠিক সেই সময় নির্বিচারে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মৃত্যু হয় ৩ জনের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আরও ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের বাড়ির সদস্যরা। ঘটনার জেরে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে ওই বুথে। পাশাপাশি, মৃতরা তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি করে তৃণমূলের তরফে জানান হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে দালালি করছে।’

আরও পড়ুন:প্রবল বিক্ষোভের মুখে চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, গাড়ি ভাঙার অভিযোগ

অন্যদিকে, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। জানানো হয়েছে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শীতলকুচির ঘটনার পর কমিশনের তরফে রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। কমিশনকে বিবেক দুবের তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে সেখানে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার সময় ৩০০ থেকে ৪০০ লোক ঘিরে ধরে। ঘিরে ধরা হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। এহেন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার জন্য বাহিনিকে গুলি চালাতে হয়েছে।
