দেশজুড়ে অক্সিজেনের ( shortage of oxygen cylinder) পুল ঘাটতি। অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) কেন্দ্রকে নোটিস দিয়ে অক্সিজেনের জোগান, ভ্যাকসিন বিতরণ ও রেমডেসিভির বিতরণের বিষয়ে কেন্দ্রকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার প্রকৃত তথ্য সামনে এল। ফাঁস হল চাঞ্চল্যকর সেই রিপোর্ট।

বাণিজ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত এই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে চলতি করোনাবর্ষেই গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ অক্সিজেন রফতানি হয়েছে বিদেশে। আর তার জেরেই এখন দেশ জুড়ে অক্সিজেনের এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতি। জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যে পরিমান তরল অক্সিজেন বিদেশ রফতানি হয়েছে তা তার আগের অর্থবর্ষের দ্বিগুণ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেই ৯ হাজার ২৯৪ মেট্রিক টন অক্সিজেন রফতানি করা হয়েছে। যা গত ৩ বছরের নিরিখে সর্বোচ্চ। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে অক্সিজেনের যে বিপুল হাহাকার চলছে তার কারণ প্রচুর পরিমান অক্সিজেন বিদেশে চলে যাওয়া? কিন্তু কি কারণে এই বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন রফতানি করতে হলে? গত বছর থেকেই করোনা সংক্রমণে নাজেহাল ও আতঙ্কিত দেশ। বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা গতবছরেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় স্ট্রেইন এর আক্রমণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। তাহলে কেন কেন্দ্রের বাণিজ্যমন্ত্রক দেশের কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেন মজুত রাখার প্রয়োজন মনে করল না?

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন। এটিই দেশ তথা বিশ্বের সর্বকালের সর্বাধিক সংক্রমণের রেকর্ড। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। যদিও এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের জোগান সর্বত্র পৌঁছে দিতে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালাচ্ছে রেল, প্রয়োজনের তুলনায় তা কিছুই নয়। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেনাবাহিনীকেও অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার কাজে হাত লাগাতে বলেছেন। কিন্তু তাতেও অক্সিজেন সংকটের সমস্যা মিটছে না