Thursday, August 21, 2025

কোভিডে পুত্রহারা ইয়েচুরিকে ব্যঙ্গ এই বিজেপি বিধায়কের! নিন্দার ঝড়

Date:

Share post:

এই নাকি পার্টি উইথ ডিফারেন্স! কোভিডে (covid) অকালমৃত পুত্রের শোকে স্তব্ধ এক বাবাকে যে রুচিহীন আক্রমণে বিদ্ধ করলেন বিহারের এই বিজেপি নেতা (bjp leader), তা থেকে মোদির দলের নেতাদের রাজনৈতিক শিক্ষা, রুচি, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। আশ্চর্যের হল, নেটমাধ্যমে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড়ের মুখে তথাকথিত বীরপুঙ্গবটি নিজের টুইটটি মুছে ফেললেও বিজেপি নেতাদের মুখে এই আচরণের নিন্দা শোনা যায়নি। এই বিজেপিই নাকি আবার সোনার বাংলা গড়বে!

বৃহস্পতিবার ভোরে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিপিএম সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরির (sitaram yechury) ৩৫ বছরের ছেলে আশিস ইয়েচুরি। মৃত্যুর খবর জানিয়ে সংক্ষিপ্ত টুইটে সিপিএম নেতা লিখেছিলেন, যেসব ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর পুত্রের প্রাণ বাঁচাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ। অতিমারিতে প্রিয় সন্তানকে অকালে হারিয়েও কারুর প্রতি বিদ্বেষ, সমালোচনা পোষণ করেননি ইয়েচুরি। লিখেছেন, বিকুকে শেষ বিদায় জানিয়ে এলাম… কঠিন সময়ে যাঁরা পাশে ছিলেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। চরম ব্যক্তিগত শোকের মুহূর্তেও এক রাজনৈতিক নেতার এই সৌজন্য, পরিমিতিবোধ, শিষ্টাচারের গভীরতা অনুধাবন করা কোনও বানরসেনার কম্ম নয় বলাই বাহুল্য!

তাই এই খবর জানার পর বিহারের এক বিজেপি নেতা যা করলেন তা নিয়ে দিনভর উত্তাল হল সমাজমাধ্যম। সীতারাম ইয়েচুরির পুত্রের মৃত্যুসংবাদ নিয়ে বিহারের সীতামারির বিধায়ক মিথিলেশ কুমার তেওয়ারি (mithilesh kumar tiwari) ব্যঙ্গের সুরে টুইট করেন,” চিনের এক সমর্থকের (supporter of china) ছেলে চিনা করোনায় (chinese corona) মারা গিয়েছে।” স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদী নেতার এই কদর্য, অপ্রাসঙ্গিক, ভারসাম্যহীন টুইট নিয়ে এরপর তোলপাড় হয় নেটদুনিয়া। ওমর অাবদুল্লা, শাকিল আহমেদ সহ দল নির্বিশেষে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও স্বভাবগত শিষ্টাচার ও সৌজন্যের জন্য পরিচিত ইয়েচুরি এনিয়ে কোনও পাল্টা মন্তব্য করেননি। হিন্দুত্ববাদী নেতার এধরনের নিকৃষ্ট ভাবনার প্রতিক্রিয়া দেওয়া নিরর্থক বুঝেই হয়তো। কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরির হয়ে বিজেপির এই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনরা। সেই ঝড়ের আঁচ পেয়েই কদর্য টুইটটি মুছে ফেলতে বাধ্য হন মিথিলেশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং যে বিষয়ে শোকজ্ঞাপন করছেন, একই সময়ে সেই বিষয়ে কীভাবে চরম হঠকারী মন্তব্য করছেন তাঁরই দলের জনপ্রতিনিধি? তার মানে কি ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে এটাই হল চরম দক্ষিণপন্থী দলটির আসল মুখ?

Advt

 

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...