Saturday, November 8, 2025

রাহুল গান্ধীর প্রচার করা কেন্দ্রে জামানত গিয়েছে কংগ্রেসের, প্রায় ৮৫% আসনেই এক চিত্র

Date:

Share post:

কেরলের সাংসদ তিনি৷ বাংলার ভোটের সঙ্গেই এবার ভোট হয়েছে কেরলেও৷ ওখানে বামেরা শত্রু, এখানে বামেরা বন্ধু৷

তিনি সাংসদ যেহেতু কেরলের, তাই কেরলের প্রতি দায়বদ্ধতা বেশি৷ বাংলা তো নেহাতই দুধে-ভাতে তাঁর কাছে৷

এই সমীকরণের উপর দাঁড়িয়ে বাংলায় এসে কং-বামের পক্ষে সওয়াল করলে কেরলের কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা নিশ্চিতভাবেই চটে যেতেন৷ তাই সতর্কভাবেই বাংলায় ভোট প্রচার এড়িয়ে গিয়েছেন কেরলের ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী ৷

শেষপর্যন্ত কেরলের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বাংলায় দু’টি সভা করতে এসেছিলেন এআইসিসির তালিকার ‘সুপার-স্টার’ প্রচারক রাহুল গান্ধী ৷

এই প্রচারে কতখানি লাভ হলো কংগ্রেসের ?

গত ১৪ এপ্রিল বাংলার মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং গোয়ালপোখর কেন্দ্রে দলের প্রার্থীর হয়ে সমর্থন চাইতে এসেছিলেন রাহুল৷ দলের প্রাক্তণ সর্বভারতীয় সভাপতির আবেদনে কেমন সাড়া দিয়েছেন ওই দুই কেন্দ্রের ভোটাররা ? এমনভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যে ওই দুই প্রার্থীর একজনও জামানত রাখতে পারেননি৷ গোয়ালপোখর কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন ১,০৫,৬৪৯ ভোট৷ কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্তি ১৯,৩৯১ ভোট৷ আর মাটিগাড়া- নকশালবাড়ি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন গোটা রাজ্যের নেতা শঙ্কর মালাকার৷ এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী, পেয়েছেন ১,৩৯,৭৮৫ ভোট৷ আর রাহুলজি তাঁর দলের নেতা শঙ্কর মালাকারের প্রাপ্ত ভোট ২৩,০৬০ ভোট৷ রাহুল গান্ধী পাশে দাঁড়ানোর পরেও এই দুই প্রার্থী তাঁদের জামানতের টাকা বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি৷

আরও পড়ুন- টুইটার বন্ধের পর এবার ইনস্টাগ্রামে বিস্ফোরক মন্তব্য, কঙ্গনার বিরুদ্ধে FIR কলকাতা পুলিশে

শুধু রাহুল গান্ধীকে ‘দোষারোপ’ করে লাভ নেই৷ নিজের গড় ধরে রাখতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরিও৷ প্রদেশ সভাপতি হিসাবে নজিরও গড়েছেন তিনি৷ তাঁর আমলেই প্রথমবার বাংলার বিধানসভা হয়েছে ‘কংগ্রেস-শূন্য’৷ বিধানসভায় আসনের বিচারে এই রাজ্য থেকে নিশ্চিহ্নই হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। বাড়তি আসন পেতে কংগ্রেস জোট গড়েছিলো বাম এবং আইএসএফের সঙ্গে৷ বাড়তি তো দূরের কথা, খাতাই খুলতে পারেনি শতবর্ষের কংগ্রেস৷ আপাতত প্রাপ্ত তথ্য বলছে শতকরা ৮৫ শতাংশ আসনেই কংগ্রেস প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ যদিও এই সংখ্যার সামান্য তারতম্য হতে পারে৷

বিস্ময়ের ব্যাপার, এই লজ্জাজনক ফল করার পরেও প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও নেতাকেই আর দেখা যাচ্ছে না৷ কেউ কোনও মন্তব্যও করেননি৷ দায় নেওয়া তো দূরের কথা৷

আরও পড়ুন- মোদির কেন্দ্র বারাণসী থেকে রামজন্মভূমি অযোধ্যা ও কৃষ্ণভূমি মথুরাতেও বিপর্যয় বিজেপির

রাজনৈতিক মহলের ধারনা, প্রদেশ কংগ্রেসের উপরের তলার জনাকয়েক পদাধিকারি দল বদল করতে পারেন৷ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে বিজেপিতেও যোগ দিতে পারেন৷

Advt

spot_img

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...