করোনা অতিমারিতে ( Corona pandemic) বাড়ির বাইরে বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা। অধিকাংশেরই ওয়ার্ক from হোম(work-from-home) । আর সেখানেই হয়েছে সমস্যা। বাড়ি থেকে কাজ করার দরুন কাজের কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকছে না। কাজের চাপ বেড়েছে (work stress and pressure increasing day by day)। সেই সঙ্গে সময়ও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (World health organisation)জানিয়েছে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রায় ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে। এছাড়া অন্যান্য জটিল হৃদরোগের সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ১৭ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘণ্টা কাজ করা স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ২০০০ ও ২০২১ সালে করোনার জেরে বাড়িতে থাকায় অনেকেই বাড়ি থেকে কাজ করছেন। আর সেখানেই সাবধান করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র গবেষণা বলছে অধিক কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যু দিকে এগিয়ে যাওয়া। একেবারে গ্লোবাল স্টাডির পরিসংখ্যান দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, স্রেফ ২০১৬ সালে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষের স্ট্রোক কিংবা হৃদ-রোগের মৃত্যুর সঙ্গে অধিক কাজ করার সম্পর্ক ছিল। এই ধরনের মৃত্যুর প্রবণতা ২০০০ সাল থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলেও দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, আবহওয়া ও স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর মারিয়া নেইরা বলেন, “সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা মানে একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপদ।”
