করোনা রুখতে সক্ষম ডিআরডিও-র তৈরি ওষুধ প্রকাশ্যে আসছে সোমবারই?

আগামী সোমবারই সম্ভবত আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে করোনার ওষুধ ( Corona preventive medicine)। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা DRDO (ডিআরডিও)। তাদের ২-ডিঅক্সি-ডিগ্লুকোজ অর্থাৎ ২-ডিজির ( 2DG)প্রথম ব্যাচ বাজারে আসতে চলেছে। সংস্থার দাবি এই ওষুধ করোনা প্রতিরোধে প্রায় ৯০ শতাংশ সক্ষম। তাদের দাবি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ওষুধ সফল হলে তা এক কথায় ঐতিহাসিক তো বটেই সেই সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে যুগান্তকারী ও বটে। সাফল্য হবে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ২-ডিজি ওষুধ বিশ্বের কাছে ভারতকে সমাদৃত করতে পারে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজের (defence minister of India Rajnath Singh) টুইটার হ্যান্ডেলে এই সুখবরটি জানিয়েছেন। টুইটে বলা হয়েছে, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অ্যান্টি কোভিড ড্রাগ ২ডিজির প্রথম ব্যাচের প্রকাশ করবেন। একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের (will be launched through video conference) মাধ্যমে তার প্রকাশ ঘটবে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ও ডঃ রেড্ডির ল্যাবের যৌথ প্রয়াসে এই ওষুধ তৈরি হয়েছে।’

২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউ আসার পর থেকেই এই ২-ডিজি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয় ডিআরডিও গবেষণাগারে। দেখা গিয়েছে এই ওষুধ মানুষের শরীরের কোষে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে পারে। কোষকে সুরক্ষিত রাখে । এরপরই কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন নিয়ে শুরু হয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ২০২০ -র অক্টোবরে দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়। ট্রায়ালে সাফল্য মেলে। দ্বিতীয় ট্রায়ালের পর দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গনা, কর্নাটক, বেঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ুর ২৭টি করোনা হাসপাতালে ২২০ জন রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে পরীক্ষা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাল ফল মেলে। আর তারপরেই অনুমোদন পায় ২-ডিজি। আগামী সোমবার ১০,০০০ ডোজ বাজারে আসবে। যদিও খোলাবাজারে এখনই পাওয়া যাবে না । প্রথমে দেওয়া হবে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে।

এই ডিঅক্সি-ডিগ্লুকোজ বা ২-ডিজি ওষুধটি মূলত পাউডার রূপে আসবে। জলে গুলে খেতে হবে। খাওয়ার পর সারা শরীরে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়বে। ভাইরাসে আক্রান্ত কোষগুলিতেও পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এর। ভাইরাসের বৃদ্ধিকেও রোধ করতে পারবে এই ওষুধ। অন্তত অন্তত উৎপাদনকারী সংস্থার দাবি এমনটাই। এটি ভাইরাসের প্রোটিন উৎপাদন বন্ধ করে দেবে । ফুসফুসের আক্রান্ত কোষে গিয়েও সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারবে এই ওষুধ। ফলে এই ওষুধ কার্যকর হলে মানব শরীরে করোনার দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমতে পারে বলে দাবি ডিআরডিওর।

Previous articleশীতলকুচি কান্ডের পুনর্নির্মাণ করল সিআইডি
Next articleকরোনা অতিমারিতে বেড়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, কাজের চাপে বাড়ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা!!