নারদ-মামলার শুনানি হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে চলছে সোমবার৷ CBI সওয়াল করছে হাইকোর্টে শুনানি স্থগিত রাখার৷ বিরোধিতায় অভিযুক্তদের আইনজীবীরা৷ তার মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুললেন পাঁচ বিচারপতির অন্যতম বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন৷

◾CBI-এর পক্ষে দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা —

কলকাতা হাইকোর্টের ৩ রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে CBI সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করছেন। আমরা মামলার সঙ্গে সংযুক্ত সকলকে ওই মামলার কাগজ পাঠাচ্ছি। এই মামলার শুনানি যদি ‘ডে আফটার টুমরো’ করা হয় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে, তাহলে ভালো হয়।

◾অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি–

CBI-এর স্থগিতাদেশের আর্জি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেদিনই খারিজ করে দিয়েছিলেন৷ তাই হাউস-অ্যারেস্ট এর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পাঁচ বিচারপতির একসঙ্গে মামলা শুনানির জন্য সময় দিচ্ছেন আর সেই সময় CBI শুনানি স্থগিত চাইছে?

◾অভিযুক্তদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় — করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু গ্রহণের আগে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার পরেও দিল্লি হাইকোর্ট মামলার শুনানি চালিয়েছে। তাই শীর্ষ আদালতে এই মামলা এখনো গৃহীত হয়নি, তাহলে কেন এখানে শুনানি গ্রহণ করা হবে না?

◾সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা — আমার ‘স্থগিতাদেশ’-এর আবেদন খারিজ করেছিলেন এটা ঠিক৷ কিন্তু সেই আবেদন ছিল হাউস-অ্যারেস্ট-এর বিষয়ে।

◾বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন — CBI ডিভিশন বেঞ্চের কাছে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চে স্থগিতাদেশ দেয় নি। এটাই কি CBI-এর ক্ষোভের কারণ?

◾বিচারপতি আই পি মুখার্জি — (CBI-এর উদ্দেশ্যে) আপনারা সময় চাইছেন, কিন্তু রাজ্যে এখন সাইক্লোনের বাতাবরণ৷ এই পরিস্থিতিতে বেঞ্চের পক্ষে সময় দেওয়া সম্ভব নয়।

শুনানি আপাতত স্থগিত৷ তবে হাইকোর্ট আজই জানাবে, এই মামলা শুনবে কি’না৷
