২৬ মে থেকে কি ভারতে বন্ধ হয়ে যাবে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম? শুধুমাত্র থাকবে Koo!

ভারতবাসীদের জন্য আজকেই শেষ দিন ফেসবুক, ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের? ২৬ মে থেকে ভারতে এগুলি ব্যবহার করা যাবে না আর? গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানার ভিত্তিতে জারি হয় একগুচ্ছ নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকা লাগু করার সময়সীমা দেওয়া হয় তিন মাস। সেই সময়সীমার শেষ দিন আগামীকাল, ২৬ মে। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি Koo এই গাইডলাইনের জবাব পাঠিয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার তরফে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার জবাব পাঠানো হয়নি।

কেন্দ্রের ওই গাইডলাইনে কী কী বলা হয়েছিল?

⏺️ প্রথমত, প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের জন্য অবশ্যই অভিযোগ Resolution প্রক্রিয়া থাকবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে অতি অবশ্যই একজন মুখ্য আধিকারিক থাকবেন। তাঁকে ভারতেরই বাসিন্দা হতে হবে। তৃতীয়ত, প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগের জন্য একজন প্রধান থাকবেন। তাঁকে নিয়োগ করতে হবে। তিনি আইনরক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবেন। চতুর্থত, প্রত্যেক মাসে প্রতিটা ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে একটি রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। সেই রিপোর্টে কতগুলি অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে – তা দেখাতে হবে।

⏺️ নতুন বিধি অনুসারে প্রতিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি বিভাগ থাকবে। OTT প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ পাওয়ার ঠিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপত্তিজনক content-এর রিপোর্ট পাওয়া গেলে নির্দেশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফেসবুক, ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কোনও ভুয়ো খবর পরিবেশিত হলে যে ব্যক্তি প্রথম পোস্ট করেছেন, তাঁর নাম পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম এবং অন্যান্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভারতে অবস্থিত অভিযোগ নিষ্পত্তি অফিসার নিয়োগ করতে হবে। যারা অভিযোগগুলি দেখবেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন-শীর্ষ আদালতে নারদ- মামলা প্রত্যাহার করলো CBI, শুনানি হবে হাইকোর্টেই

এই নির্দেশিকা না মেনে চললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই গাইডলাইন নিয়ে বিস্তারিত জানান। তাঁদের কথায়, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক ভাষা বেশি ব্যবহার হচ্ছে। তবে এখন থেকে আর মিডিয়ায় আপত্তিজনক বিষয়বস্তু সরকার অনুমোদন করবে না।’ এই গাইডলাইন একমাত্র Koo মেনে জবাব দিয়েছে।

Advt