সর্বশক্তি দিয়ে বঙ্গ লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি(BJP) গেরুয়া মতাদর্শকে গ্রহণ করেনি বাংলা। বাংলায় বিজেপির শোচনীয় হারের পর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি কার্যত মুষড়ে পড়েছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। এই হার যে অশনি সংকেত তা টের পেয়ে ইতিমধ্যেই আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। চলছে ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের কাজ। এমতবস্থায় শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বকে নির্বাচনে জয়ের জন্য হার থেকে শিক্ষা নিয়ে রণকৌশল বানানোর পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)।

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি মহাসচিব ভূপেন্দ্র যাদব সহ দলের ৭ শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকের পর মোদির সঙ্গে রাত্রিভোজও করেন তারা। বিজেপি সূত্রে খবর, এই দিনের বৈঠকে ২০২২ সালে দেশের যে সকল রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে তার প্রস্তুতি পর্ব এখন থেকে শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি একুশের নির্বাচনে যে সকল জায়গায় হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে, সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী নির্বাচনে রণকৌশল বানানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি করোনাকালে দেশের নানা প্রান্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে যে সেবা কর্মসূচি বিজেপি শুরু করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জানতে মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের, আজ বিকেলেই বৈঠক

যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, ২২ এর নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশ পুনর্দখল। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এই রাজ্যে যোগী সরকারের ভাবমূর্তি অনেকখানি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে লড়াইটা বেশ কঠিন বিজেপির জন্য। এই উত্তরপ্রদেশ নিয়েও মোদির বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরে আগামী রণনীতি সাজাতে একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকের পাশাপাশি বৈঠক করা হয়েছে আরএসএস-এর সঙ্গেও। সবশেষে বৈঠকের ফলাফল নিয়ে এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা সেরে নিল বিজেপি শিবির।

