করোনা পরিস্থিতি(covid situation) জেরে গতবছর কড়া বিধিনিষেধে ভক্তদের ছাড়াই প্রথমবার সম্পন্ন হয়েছিল পুরীর(Puri) জগন্নাথ দেবের(Jagannath) স্নানযাত্রা। দ্বিতীয় বছরেও বদল এলোনা সেই ছবিতে। মারণ হয় দেশের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে এই পরিস্থিতিতে ভক্তদের ছাড়াই রীতি রেওয়াজ মেনে আয়োজন করা হলো জগন্নাথের স্নান যাত্রা। ভক্ত তো বটেই এমনকি রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হওয়ার জেরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেবও। ৫০০ জন সেবায়েত করোনা পরীক্ষা করিয়ে উপস্থিত থাকার অনুমতি পেয়েছেন এই অনুষ্ঠানে।

জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা আয়োজনে কোনও খামতি রাখেনি কতৃপক্ষ। মন্দির চত্বরে কোন ভক্তের প্রবেশের অনুমতি রাখা হয়নি। ওই এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভক্তদের জন্য ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান দেখার আয়োজন করা হয়েছে।

কথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রভু জগন্নাথ। তারপর এই পূণ্যতিথিটিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন মনু। সেই জন্মদিন উপলক্ষে পৌরাণিক কাল থেকে এই বিশেষ স্নান উৎসব পালিত হয়ে আসছে আজও। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম পূর্ণিমাতেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিন গর্ভগৃহ থেকে মূর্তি তুলে এনে স্নান মণ্ডপে স্থাপন করা হয়। সেখানেই সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। স্নানের পাশাপাশি চলে মূর্তির সাজসজ্জা-অলঙ্করণ ইত্যাদি। ১০৮ ঘড়া জলে স্নানের পরেই জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব। তাই এইসময় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকেন। রথ পর্যন্ত বিশ্রাম নেন। তাই ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পান না। এই কয়েকদিন পুজোও হয় না তাঁর। রীতিমত কম্বল চাপা দিয়ে পড়ে থাকেন জগন্নাথ। তবে রথযাত্রার দিন রাজবেশে রথে করে তিনি যাবেন মাসির বাড়িতে। এ বার তা সম্পন্ন হবে ১২ জুলাই।
