জম্মু কাশ্মীর(Jammu Kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ও দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার পর সম্প্রতি উপত্যকায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার উপত্যাকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও(Mehbooba Mufti)। তবে সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মেহবুবা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যতদিন না সংবিধানের ৩৭০ ধারা ফিরে আসছে ততদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না তিনি। স্বাভাবিকভাবেই মেহবুবার এই ঘোষণা উপত্যকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ফের শুরু করার প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ধাক্কা খেলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর আবেদন জানান মেহবুবা মুফতি। যদিও প্রধানমন্ত্রী পাল্টা জানিয়ে দেন জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উপযুক্ত সময় এলেই তা ফেরানো হবে। পাশাপাশি উপত্যকার বিধানসভা কেন্দ্র গুলির সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য স্থানীয় দলগুলির সাহায্য চান তিনি। গতকালের সেই বৈঠকের পর শুক্রবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহবুবা মুফতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “যতদিন না ৩৭০ ধারা ফিরে আসছে, ততদিন আমি নির্বাচনে লড়ব না। ভোটের আগে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার। আগে মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার।”
আরও পড়ুন:ফাইজার, মডার্নার টিকায় হৃৎপিন্ডের আকার বড় হতে পারে, সতর্ক করল ডিজিজ কন্ট্রোল

পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা প্রসঙ্গে মেহবুবা আরো বলেন, “জঙ্গিদের হত্যা করা নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সাফল্য হতে পারে। কিন্তু তা সরকারের সাফল্য নয়। সরকারকে বুঝতে হবে, কেন তরুণরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।” তাঁর কথায়, “সরকারকে বুঝতে হবে কেন মানুষ ক্ষুব্ধ। আমি নির্বাচনের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু ভোটের আগে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের একটা অংশ কেটে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে সরকারকে।

