সোনারপুরে (sonarpur) বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের (illegal vaccine camp) তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। অভিযুক্ত মিঠুন মণ্ডল, ভ্যাকসিন রেজিস্টারে কারচুপি করত বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। সেই কারচুপি করা ভ্যাকসিন সে সোনারপুরের ক্যাম্পে বিক্রি করে দিত তারও প্রমাণ মিলেছে । তদন্তে দেখা দিয়েছে ডায়মন্ডহারবারের মশাট সাবসেন্টারে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বলে দেখানো হলেও, বেশ কিছু ভ্যাকসিন সে দিত সোনারপুরে এসে। অন্তত ৩০ টির মতো ভ্যাকসিন মিঠুন মণ্ডল বেআইনিভাবে সোনারপুরে দিয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে।
যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ওই মিঠুন মণ্ডলের থেকে, তাঁদের অনেকেই বলেছেন, কেউ ৩০০ টাকা আবার কেউ ৫০০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভায়াল ভেঙে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্রতি কেন্দ্রেই অতিরিক্ত ভ্যাকসিন পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে। ডায়মন্ডহারবারে সেই হিসেবেই গরমিল করত মিঠুন। সেগুলো সোনারপুরে এনে বিক্রি করত। পরে কোইউন অ্যাপে আপডেট করা হত। তাই সোনারপুরে যাঁরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁরা পরে মোবাইলে ম্যাসেজ পেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের সার্টিফিকেটে সোনারপুরের উল্লেখ নেই, আছে ডায়মন্ডহারবারের ঠিকানা। এই কাণ্ডে আর কারা জড়িত তা তদন্তর জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ৪ সদস্যের দল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
