ত্রিপুরার বিজেপি (Bjp) সরকার যে তৃণমূলকে (Tmc) নিয়ে উদ্বিগ্ন, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) আগরতলা যাওয়ায় তাঁর উপর বিজেপির হামলার ঘটনা থেকেই। কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দ্বিতীয় দিনের সফরেও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে আটকে দেওয়া হল শান্তিপূর্ণ তৃণমূলের মিছিল। বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের যুব নেতৃত্ব সুদীপ রাহা-জয়া দত্তদের (Sudip Raha-Jaya-Dutta) নিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপির অপশাসন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা এবং পেট্রোপণ্যের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মিছিল হচ্ছিল আগরতলায়। কিন্তু হঠাৎ এই সেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিল এগোতে গেলে কুণাল ঘোষ-জয়া দত্তদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা। সেই সময় ব়্যাফ দিয়ে তাঁদের ঘিরে ফেলা হয়। সেখানে বসেই স্লোগান দিতে থাকেন কুণালরা।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও কুণাল ঘোষ জানান, ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপি সরকার তৃণমূলকে ভয় পেয়েছে। সেই কারণেই পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে দমননীতি চালাতে চাইছে। শান্তিপূর্ণ মিছিল আটকে দিয়েছে তারা। “তবে এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না” বলে জানান রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মতে, ২০২৩-এ ত্রিপুরায় মানুষের মহাজোটের সরকার গড়বে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনার পরেই থানায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সে ব্যাপারে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নেন কুণাল।

আরও পড়ুন:মেলেনি পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন: অভিযোগ জানিয়ে ফের মোদিকে কড়া চিঠি মমতার
