Sunday, November 16, 2025

আমরাও সিপিএমের মতো মানুষকে বোঝাতে পারিনি, তাই ক্ষমতায় নেই; স্বীকারোক্তি দিলীপের

Date:

Share post:

এবার সিপিএমের সুর বিজেপি নেতার গলায় ।গত এক দশকে একাধিকবার সিপিএম (CPIM) নেতারা বলেছেন, ‘আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি। এবার সেই একই সুর শোনা গেল বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কন্ঠে।এমনকি নিজেই সিপিএমের সঙ্গে তুলনা টানলেন বিজেপির এবং বললেন, “আমরা মানুষকে বিশ্বাস করাতে পারিনি যে আমরা জিততে পারি। আর সেই কারণেই বিধানসভা নির্বাচনে এই ফল হয়েছে ।

আরও পড়ুন- দু’মাস ধরে জলমগ্ন এলাকা, প্রতিবাদে জলের মধ্যেই ধর্ণায় বসে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শুক্রবার সংবর্ধনা জানাতে বিধাননগরের ইজেডসিসিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্য বিজেপি। সেখানে বিধায়ক থেকে তাবড় নেতারা উপস্থিত ছিলেন । সেখানেই একুশের ভোটে তাঁদের হারের কারণ ব্যাখ্যা করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে, তার দায় আমাদের। আমরা সিপিএমের মতো মানুষকে বোঝাতে পারিনি”।
সংবর্ধনা সভা কার্যত পরিণত হয় বিধানসভা নির্বাচনে হারের অন্তর্তদন্তে।দিলীপবাবু স্বীকার করে নেন, “টিএমসি যদি সরকারে আসে, সিপিএমের যেমন ব্যর্থতা আছে, তেমনি আমাদেরও আছে। আমরা মানুষকে সেই বিশ্বাস দিতে পারিনি যে, আমরা সরকার গঠন করতে পারি। এবং একশো পঞ্চাশের বেশি সিট জিততে পারি। ”
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আরও বলেন,
“মানুষ যেদিন যোগ্য মনে করবে, আমাদের সরকার আসবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবে। আর ক্ষমতার লোভে যাঁরা এখান থেকে ওখানে গেছেন, আজ হোক, কাল হোক, তাঁদের রিজাইন করতে হবে।”দিলীপ ঘোষ বলেন কয়েক বছর আগে যেখানে বিজেপির পতাকা দেখা যেত না, সেখানেও এখন তাঁদের পঞ্চায়েত আছে।
তিনি বলেন, বিজেপি রেকর্ড গড়ছে একের পর এক রাজ্যে। আগে বিহার, উত্তর প্রদেশকে নিয়ে লোক হাসাহাসি করত। জঙ্গল মহল বলত। আজ গুন্ডা, বদমাশ নাই। সেখানে যোগী রাজ হয়েছে। মানুষ বুঝেছে রামরাজ্য কী।
এ রাজ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার বক্তব্যে ভবানীপুর প্রসঙ্গ উঠে আসে । তিনি বলেন, ভবানীপুরে ভারতীয় জনতা পার্টি শক্তিশালী নয়। কিন্তু কর্মীরা লড়াই করে সেখানে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছেন মন্ত্রীদের বাড়ি বাড়ি ছুটতে হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জিকে গিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মিটিং করতে হচ্ছে। সংগঠনকে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছেন। আমরাও আমাদের এমপি, এমএলএদের লাগিয়েছি। প্রতিদিন আক্রমণ হয়েছে। তাই শেষ দিন আশিজন নেতাকে আশি জায়গায় একসঙ্গে প্রচারে নামিয়েছি। তার ধাক্কায় তৃণমূল টালমাটাল হয়ে গেছে।
৪০ বছর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। সেই গণতন্ত্রকে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনীতির অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। বাঙালি সমাজকে চোর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তন করতে হবে। এর জন্য বিজেপিকে দরকার।

advt 19

 

spot_img

Related articles

২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া-সন্ধ্যায় কৃতী সংবর্ধনা ও এডুকেশন হেলথ কার্ড উদ্বোধন

উত্তর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল সংবর্ধনা ও সমাজসেবামূলক এক...

কলকাতা দর্শন: ডিসেম্বরেই শহর ভ্রমণে নতুন উদ্যোগ! চালু হচ্ছে বিশেষ পর্যটন বাস পরিষেবা

শীতের মৌসুমে কলকাতার পর্যটন শিল্পকে তেজ দিতে নতুন পদক্ষেপ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। ডিসেম্বরের শুরু থেকে চালু হতে...

কাপড়ের ব্যবসা করে জীবন কাটাচ্ছেন ধর্ষণের দায়ে জেল খাটা বলিউড নায়ক!

বলিউডের (Bollywood) একসময়ের নামকরা হিরো এখন রিয়েল লাইফে জিরো। 'গ্যাংস্টার'-এর মতো সুপারহিট সিনেমায় অভিনয়ের পর ধর্ষণের দায়ে সাত...

ডিসেম্বরেই সম্পন্ন হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া! এসএসসির তালিকা প্রকাশ হতেই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

কারা ডাক পেলেন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইন্টারভিউ তালিকায়, এবার সেই নাম প্রকাশ করল এসএসসি। শনিবার ২০ হাজার নামের এক...