ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের লাগাতার আক্রমণে নাজেহাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি দিয়েও মানুষের প্রবল সাড়ায় বিচলিত। সভা সফল করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে সকলে দিনরাত প্রচার করছেন। সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিংরাও রয়েছেন। আর তাতে ভয় পেয়ে গিয়ে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশ সুয়োমোটো মামলা করে থানায় হাজিরা দিতে নোটিশ পাঠায় গভীর রাতে। শনিবার দুপুরেই থানায় হাজিরা দেন কুণাল ঘোষ। আর তাতে রীতিমতো ঘাবড়ে গেল পুলিশ।

তারপরের ঘটনা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন লিখেছেন…
নোটিসে সাড়া দিয়ে আগরতলা পশ্চিম থানায় গিয়েছিলাম।
কমপ্লাই করেছি।
ওঁদের অফিসাররা যা প্রশ্ন করেছেন, উত্তর দিয়েছি।
আমি যা যা বলেছি, অফিসাররা সামনাসামনি মানতে বাধ্য হয়েছেন। তবে পরে খাতায় কলমে কী করবেন, সে তো বিজেপির নির্দেশের বিষয় !!
আমি এখানে কথোপকথন লিখতে চাই না।
শুধু বলি, আমার মূল বক্তব্য: রাজনীতি থেকে ধর্ম দূরে রাখুন। আমিও হিন্দু। ঈশ্বর বিশ্বাস করি। রামকে নমস্কার করি। কিন্তু রামের নামে ভোটব্যবসা সমর্থন করি না। যদি বিজেপি রাজনীতিতে রামের নাম দিয়ে রামরাজ্যের কথা বলে, তাহলে আমিও বলতেই পারি মা সীতাকে কেন পাতালপ্রবেশ করতে হয়েছিল? রাজনীতি থেকে ধর্ম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিন। অথবা বলে দিন রামায়ণের কোন অংশ বলা যাবে আর কোনটা বলা যাবে না। আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে বিজেপির ধর্ম ব্যবহারের প্রতিবাদ করবই। আমি দায়িত্বশীল নাগরিক। সম্প্রীতি, সংহতি, শান্তি এবং সুস্থ রাজনীতির পক্ষে।

এইসব কথোপকথনের পর ( বিস্তারিত লিখলাম না) পুলিশ বলে আমি যেতে পারি।
তখন আমি এফ আই আরের কপি দেখতে চাই।
পুলিশ রাজি ছিল না। এড়াতে থাকে।
আমি বলি আমাকে বা আইনজীবীকে এফ আই আর না দেখালে যাব না।
অপেক্ষা করতে মাটিতেই বসে থাকি। সঙ্গে তৃণমূলের সহকর্মীরা ছিল।
এরপর পুলিশ আইনজীবী শ্রীমান অগ্নিশ বসুকে এফ আই আর দেখায়।
আমি তারপর চলে আসি।

থানায় সঙ্গে ছিল জয়া, সুদীপ , মৃত্যুঞ্জয়, শক্তি, সাদাব, রেহান, রাজা, সোলাঙ্কি, তানিয়ারা।
