ফুটপাথে পড়ে বছর কুড়ির এক যুবক। আর তাঁর বুকে বুট সমেত পা তুলে দাঁড়িয়ে আছেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer)। স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media) এক্সাইড মোড়ের এই ঘটনার ছবি দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। এমনকী ঘটনায় বিব্রত খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র (Soumen Mitra)। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত তন্ময় বিশ্বাস ঘটনাটি না বুঝে করে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল রবিবার সন্ধেয় রবীন্দ্র সদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে? ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জানান, এক্সাইড মোড় থেকে হাওড়াগামী একটি চলন্ত বাস থেকে মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করেছিলেন ওই যুবক। বাস থেকে নেমে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন। চলছিল বেদম প্রহার। তন্ময় বিশ্বাসই প্রথমে তাঁকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করতেই তাঁকে আটকাতে ফুটপাথে ফেলে পা দিয়ে ঠেসে ধরেন। তবে কারণ যাই হোক, এই দৃশ্য শিউরে ওঠার মতো। এদৃশ্য মনে করিয়ে দেয়, সাম্প্রতিক অতীতে ঘটে যাওয়া আমেরিকার ঘটনা।
![](https://bbs.s3.ap-south-1.amazonaws.com/wp-content/uploads/2021/10/26003622/WhatsApp-Image-2021-10-26-at-00.31.32-5.jpeg)
![](https://bbs.s3.ap-south-1.amazonaws.com/wp-content/uploads/2021/10/26003708/WhatsApp-Image-2021-10-26-at-00.31.32-3.jpeg)
তবে, এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি কলকাতা পুলিশ। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনু অভিযুক্তকে ধরলে সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ থাকে নিকটবর্তী থানায় বা পুলিসকর্মীর হাতে তুলে দেওয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন তন্ময় এ কাজ করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার অবশ্য জানান, ওই যুবক পালাতে গিয়েছিলেন। ঘটনায় হঠাৎ করেই এই কাজটি করে ফেলেছেন তিনি। এটা করা যে তাঁর উচিত হয়নি সেটাও কবুল করেছেন তন্ময়। তবে বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা ডেকে পাঠিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, কেন তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিলেন না? এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।