Sunday, May 11, 2025

Mumbai Attack: ২৬/১১ মুম্বাই হামলা : ১৩ বছর পরেও তদন্ত আটকে আছে পাকিস্তানে

Date:

Share post:

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরে মুম্বাই  হামলায় ১৫ টি দেশের ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। এই হামলা ২৬/১১ নামেও পরিচিত। সন্ত্রাসীরা আইকনিক তাজমহল প্যালেস হোটেল, নরিম্যান হাউস, মেট্রো সিনেমা এবং ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস সহ অন্যান্য স্থানে হামলা চালায়। ১৩ বছর হয়ে গেছে কিন্তু এই হামলার অনেক অপরাধী এখনও পাকিস্তানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

হামলায় আজমল কাসাব নামের একমাত্র সন্ত্রাসী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, সে নিশ্চিত করেছিল যে এটি লস্কর-ই-তৈবা এবং পাকিস্তানের অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির দ্বারা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কাসাব জানিয়েছিল , সব হামলাকারী পাকিস্তান থেকে এসেছে। হামলার সময় পাকিস্তান থেকেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

হামলার দশ বছর পর, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এই হামলায় ইসলামাবাদের ভূমিকা রয়েছে। পাকিস্তানের জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতা ছাড়াও, ভারতের পক্ষ থেকেও প্রমাণ ভাগ করা হয়েছিল। এর পরেও পাকিস্তান এখনও নির্যাতিতদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার ক্ষেত্রে সততা দেখায়নি।

এই হামলার ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১৩তম বার্ষিকীতে পাকিস্তান হাইকমিশনের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর আগে ৭ নভেম্বর পাকিস্তানের একটি আদালত হামলায় জড়িত ছয় সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেয়। এদের মধ্যে মুম্বাই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সাঈদের সঙ্গে কৌশল তৈরিতে জড়িতরাও ছিল ।

এই মামলায় তদন্ত স্থগিত রেখেছে পাকিস্তান। এই কারণে এই হামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। এতে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অন্যদিকে, জাতিসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থার নজরদারির কারণে তদন্ত এড়াতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাদের নাম পরিবর্তন করে চলেছে।

উল্লেখযোগ্য, যে ভারত সরকার এই সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে পাকিস্তানে বেশ কিছু ডসিয়ার পাঠিয়েছে। যার ভিত্তিতে পাকিস্তানে সাতজনকে আসামি করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও ২৬/১১ হামলার মূল অভিযুক্তদের কাউকেই বিচার বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।

পাকিস্তানের হাইকমিশনের একজন সিনিয়র কূটনীতিককে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে তলব করা হয়েছিল এবং বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।

এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এটি গভীর বেদনার বিষয় যে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার ১৩ বছর পরেও, ১৬৬ জন নিহতের পরিবার এখনও মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।”

spot_img

Related articles

ঝাড়গ্রামে ‘সাদা পাহাড়’ ঘিরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

ঝাড়গ্রামের (Jhargram) পর্যটন পরিকাঠামোয় বড়সড় উন্নয়নে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। বেলপাহাড়ির ‘সাদা পাহাড়’ বা স্থানীয়দের কথায় ‘চেতন ডুংরি’ এলাকায়...

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল! ধর্মতলায় ভূগর্ভস্থ পার্কিং প্লাজা-টানেল

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মেট্রো (Metro) সম্প্রসারণের ফলে ধর্মতলা দ্রুতই হয়ে উঠবে কলকাতার...

পরিস্থিতি যুদ্ধের থেকে কম নয়: প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে বার্তা তিন সেনাপ্রধানের

দেশের সেনার কাজ শান্তি বজায় রাখা। সেই প্রক্রিয়ায় কেউ অশান্তির চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা কীভাবে জবাব দেবে স্পষ্ট...

কাশ্মীর: ট্রাম্পের মধ্যস্থতা চায় না ভারত, বাণিজ্য নিয়ে ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

একবার দু'পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষ বিরতির চেষ্টা করলেও বারবার তাঁকে এ বিষয়ে নাক গলাতে দেওয়া হবে না।...