Cyclone: ‘জাওয়াদ’-এর আশঙ্কা, সুন্দরবন উপকূলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি সতর্কতা

উপকূল এলাকায় পুলিশ, ব্লক প্রশাসন, মৎস্য ও কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে মাইক প্রচার চলছে।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার আছড়ে পড়বে সুন্দরবন (Sundarbon) উপকূলে। যার প্রভাবে ৭০ থেকে ৮০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে। উপকূলে ঝড়ের গতিবেগ বেশী থাকবে। ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। রবি ও সোমবার কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। এই ঝড়-‌বষ্টির জেরে মৎস্যজীবী ও কৃষকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার, বিকেলের মধ্যে নদী ও সমুদ্র থেকে সমস্ত মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, সকাল থেকে সুন্দরবন-সহ উপকূল এলাকায় পুলিশ, ব্লক প্রশাসন, মৎস্য ও কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে মাইক প্রচার চলছে। জেলার কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা, রায়দিঘি, কুলতলি, বাসন্তী, ক্যানিং, গোসাবার বিভিন্ন মৎস্যবন্দরে প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবী ইউনিয়নগুলিকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নামখানায় হাতানিয়া-‌দোয়ানিয়া, ক্যানিংয়ের মাতলা, কুলতলির ঠাকুরান নদীর উপরে লঞ্চ নিয়ে প্রচার চালান পুলিশকর্মীরা।

আরও পড়ুন:Bank Strike:বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে দুদিন দেশব্যাপী ব্যাঙ্ক বন্ধের ডাক কর্মীদের

ঝড়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার সত্তর শতাংশ জমির আমন ধান পেকে গিয়েছে। ধান কাটাও চলছে। এইসময় ভারী বৃষ্টি হলে ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে। এজন্য কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি ধান কেটে নেওয়ার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শীতকালীন সবজিরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। নিম্নচাপের দোসর হিসেবে থাকছে ভরা কোটাল। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে অমাবস্যার কোটাল। জোড়া ফলায় আবারও সুন্দরবনের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধ উপছে জল ঢোকার আশঙ্কা থাকছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। সুন্দরবনের সব ফ্লাড সেন্টারগুলি তৈরি রাখা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন শুকনো খাবার, তার্পোলিন মজুত করেছে।

প্রশানসনের তরফে জানানো হয়েছে। শনিবার থেকে ব্লকগুলিতে কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। জেলার অতিরিক্ত মৎস্য আধিকারিক (‌সামুদ্রিক)‌ জয়ন্ত প্রধান বলেন, সব বন্দর এলাকায় মাইক প্রচার চলছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ব্লকস্তর থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। মাইক থেকে সতর্ক প্রচার করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন।

 

Previous articleBank Strike:বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে দুদিন দেশব্যাপী ব্যাঙ্ক বন্ধের ডাক কর্মীদের
Next articleInternational Flight: ডেল্টার পর ওমিক্রনের চোখরাঙানি, চালু হচ্ছে না আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা