Wednesday, August 27, 2025

KMC 124: শোভনের সহযোগিতা ছাড়াই ওয়ার্ডের আমূল পরিবর্তন করেছেন রাজীব

Date:

Share post:

বাম জমানায় কার্যত পিছিয়ে পড়া একটি ওয়ার্ডকে মাত্র ৫ বছর হাতে পেয়েই আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছেন ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের (TMC) বিদায়ী কাউন্সিলর রাজীব দাস (Rajib Das). বেহালা পূর্বের এই ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৫ সালে যখন তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হন, তার আগে পর্যন্ত এই এলাকা ছিল নামেই কলকাতা। উন্নয়নের লেশমাত্র ছিলনা। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তখনও ছিল কাঁচা রাস্তা, খালাখন্দ। ছিল না পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা কিংবা নিকাশি। অল্পতেই জল জমে যেত। সেই জায়গা থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে কাজ করে অনেকটাই ভোল বদলে দিয়েছেন রাজীব। এবারও ১২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শাসক দলের প্রার্থী রাজীব দাস।
রাজীব দায়িত্ব নেওয়ার পরই সর্বাগ্রে মানুষের বাড়ি পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। গত ৫ বছরে সেই কাজ প্রায় ১০০% সম্পন্ন। নিকাশি ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নত করা গিয়েছে বলে দাবি রাজীবের। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ১০০% সম্পন্ন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। পিছিয়ে থাকা বঞ্চিত ওয়ার্ড এখন আলো ঝলমলে। রাস্তাঘাট আগের থেকে উন্নত। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ডাক্তার বসেন।
তবে রাজীবের আক্ষেপ, বেহালা পূর্বের প্রাক্তন বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায় যদি পাঁচ বছর এলাকায় থাকতেন, তাহলে ১২৪ ওয়ার্ডের উন্নয়নের কাজ করতে আরও সুবিধা হতো। একটি সময়ে বিধায়ক, মন্ত্রী, মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পরও এই কয়েক বছরে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কাছে পায়নি এলাকার মানুষ। বছরের পর বছর অভিভাবকহীন করা বিধায়কের অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে অনেক সময় পড়তে হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরকে। কিন্তু শোভনের অনুপস্থিতে এলাকার মানুষের কোনও পরিষেবার ব্যাঘাত ঘটছে দেননি রাজীব দাস। দাঁতে দাঁত চেপে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন। মানবসেবায় লড়াই চালিয়েছেন। মহামারী ও আমফান বিপর্যয়ের মধ্যেও ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা মানুষের পাশে থেকেছেন ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভূমিপুত্র রাজীব।
শোভনের শুন্যস্থান পূরণের জন্য পাশের বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনেক সাহায্য করেছেন বলেই জানিয়েছেন রাজীব। আর বেহালা পূর্বের নতুন বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায় আসার পর থেকে বিধায়কের অভাব বা অভিভাবকের অভাব আর অনুভূত করছেন না এলাকাবাসী।
রাজীবের কথায়, “এবার আমরা সত্যিই একজন যোগ্য বিধায়ক পেয়েছি। রত্নাদি বিধায়ক কম, কাউন্সিলর বেশি। তিনি কাউন্সিলরদের মতো রাস্তায় নেমে কাজ করেন। সকলের সঙ্গে মিশে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। গত কয়েক মাসে তাঁকে বিধায়ক হিসেবে পেয়ে আমাদের কাজে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। আমরা গর্বিত।”
অন্যদিকে, ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ তাঁদের কাজের ছেলে কাজের ছেলে রাজীব ফের ভোটে দাঁড়ানোয় দারুণ খুশি। প্রচারে রাজীব যেখানেই যাচ্ছেন দু’হাত তুলে মানুষ তাঁকে আশীর্বাদ করছেন। ছবিটি স্পষ্ট, ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ ফের লেটার মার্কস দিয়ে রাজীবকে ভোট পরীক্ষায় পাস করিয়ে আনার প্রহর গুনছেন।
spot_img

Related articles

বিরক্ত মিঠুন? এড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক কর্মসূচি

বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP)...

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...