কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সম্প্রতি ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন বা এনএমপি ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিমানবন্দর, নৌবন্দর, কয়লাখনি, গ্যাস পাইপ লাইনের মতো একাধিক ক্ষেত্রকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হাতে লিজ ভিত্তিতে তুলে দেওয়া হবে। এই প্রকল্প নিয়ে মোদি সরকারের কাছে একাধিক প্রশ্ন রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জানতে চান এমএনপি প্রকল্পের মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কি আরও বেশি করে একচেটিয়া কারবারের আধিপত্য দেখা যাবে? যদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে একচেটিয়া কারবার গড়ে ওঠে তা প্রতিরোধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? চলতি অর্থবর্ষে এনএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কত টাকা আয় করবে বলে মনে করছে? লিজ বা ইজারাকালীন সময়ের মধ্যে সরকারি সম্পত্তির যে কোনও ক্ষতি হবে না এ ব্যাপারে কি নিশ্চয়তা আছে?

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিং জানিয়েছেন, এনএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পরিকাঠামো শিল্পকে আরও সুসংহত, অত্যাধুনিক ও উন্নত করাই সরকারের লক্ষ্য। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা দেশে ৫০০০ কিলোমিটার সড়ক, ৪০টি রেলস্টেশন, তিনটি রেলওয়ে স্টেডিয়াম, ৬টি বিমানবন্দর, ২২২৯ কিলোমিটার তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং ৭৭৫ কিলোমিটার পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টের জন্য পাইপলাইন এবং একটি হাইড্রোজেন উৎপাদনকারী প্যান্ট উৎপাদনের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিলামের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। সরকারের নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি মেনে প্রতিটি ক্ষেত্রে কোন সংস্থা দায়িত্ব পাবে সে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

আরও পড়ুন- শুধু এদেশে নয়, ‘কলড্রপ’ গোটা বিশ্বের সমস্যা, জহরের প্রশ্নের উত্তরে জানাল কেন্দ্র
