লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ, প্রতিমার প্রশ্নে স্বীকার করল কেন্দ্র

শেষ তিন বছরে দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কত মানুষ কাজ হারিয়েছেন সে ব্যাপারে সরকারের কাছে কি কোনও তথ্য আছে? কি কারণে এত মানুষ কাজ হারিয়েছেন? টেক্সটাইল, ব্যাংকিং তথ্য ও প্রযুক্তি, সংগঠিত ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু মানুষ কাজ হারানোর ফলে কতটা ক্ষতি হয়েছে? বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের কাজ হারানো বন্ধ করতে বা কাজ হারানো মানুষকে সাহায্য করতে সরকারকে কি কোন পদক্ষেপ করেছে? সোমবার সংসদের অধিবেশনে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মন্ডল।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন। ওই পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা রুখতে গোটা দেশের লকডাউন জারি হয়েছিল। লকডাউনের সময় দেশের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বেশ কিছু মানুষ কাজ হারিয়েছেন।

শ্রম মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে, ২০২০- সালের ২৫ মার্চ ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৯৮.৭ লাখ পুরুষ। জুন মাস নাগাদ যা কমে হয় ৮৭.৯ লক্ষ। একইভাবে মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে প্রায় তিন লাখেরও বেশি। নির্মাণশিল্পের ক্ষেত্রেও ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ৫.৮ লাখ থেকে কমে ৫.১ লাখ হয়েছে। একইভাবে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ১.৮ থেকে কমে ১.৫ লাখ হয়েছে। পরিবহণ শিল্পে ওই একই সময়ে পুরুষ কর্মী ছিলেন ১১.৩ লাখ। যা কমে হয় ১১.১ লাখ। ওই সময়ে পরিবহণ শিল্পে মহিলা কর্মীর সংখ্যা অবশ্য অপরিবর্তিত ছিল। একইভাবে শিক্ষা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, আর্থিক ক্ষেত্র-সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই লকডাউনের সময় পুরুষ ও মহিলা উভয় কর্মীর সংখ্যাই কমেছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে ২০২০ সালের ২৫ জুন মোট পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ২১৭.৮ লাখ, যা ওই বছরের জুন মাসে কমে হয় ২০১.৫ লাখ। ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট মহিলা কর্মী যুক্ত ছিলেন ৯০ লক্ষ। যা জুন মাসে কমে হয়েছে ৮৩.৩ লক্ষ।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কাজ হারানোর ফলে বেশিরভাগ মানুষকেই বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তাই মানুষের সেই সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। ওই সমস্ত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, প্রাইম মিনিস্টার এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজকার অভিযান, আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডর্স আত্মনির্ভর নিধি প্রভৃতি।

আরও পড়ুন- NMP প্রকল্পে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, জহরের প্রশ্নের উত্তরে জানাল কেন্দ্র 

Previous articleNMP প্রকল্পে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, জহরের প্রশ্নের উত্তরে জানাল কেন্দ্র 
Next article‘স্কিল ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম’-এর কোনও হাল-হকিকত জানে না কেন্দ্র, কল্যাণের প্রশ্নে স্বীকার করলেন মন্ত্রী