Sunday, August 24, 2025

এবার হিরণের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দিলীপ ঘোষের

Date:

Share post:

বেলাগাম গেরুয়া শিবিরের অন্দরের ক্ষোভ। মঙ্গলবারই দলীয় হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আগেই গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন পাঁচ মতুয়া বিধায়কও। বুধবার গ্রুপত্যাগীর তালিকা আরও দীর্ঘ হয়। গ্রুপ ছাড়েন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গ্রুপ-ত্যাগ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) বলেন, ‘যিনি গ্রুপ ছেড়েছেন। তিনি বলতে পারবেন। আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।’
এ বার, হিরণকে পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “কিছু হলেই এখন গ্রুপ ছেড়ে চলে যাবেন কেউ কেউ! তাতে কার কী করার রয়েছে! তাছাড়া যিনি গ্রুপ ছেড়ে গিয়েছেন তাঁকে তো ডেকে ডেকে পাওয়া যায় না। দলের কোনও মিটিং মিছিলে অংশ নেন না তিনি। আগেও অনেকবার তাঁকে দলের কাজে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।”
গত বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর সদর থেকে লড়ে জয়ী হন অভিনেতা হিরণ।জানা গিয়েছে, এরপর থেকেই তাঁর বিধানসভা এলাকাতেই নানারকম চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। ওই এলাকারই সাংসদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।অভিযোগ, তাঁর অনুগামীরাই নাকি কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন হিরণকে। দলেরই অপর গোষ্ঠী থেকে রাজনৈতিক চাপ আসছিল বলেও জানা যায়। এমনকি ‘হিরণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’, এ কথা লিখে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছিল এলাকায়।

এই সব নিয়েই অনেক দিন ধরে ক্ষোভ তৈরি হয় বিধায়কের। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে গিয়ে নেতাদের বারবার এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছিলেন বলেও ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। এ ব্যাপারে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।গত কয়েকদিন ধরেই এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন, এটা বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিষয়, দলের অন্দরেই সেটা মিটিয়ে ফেলা হবে।

মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা ঘটেছে, তাতে দলের অন্দরের চিড় আরও প্রকট হয়েছে। একদিকে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে।যদিও বিজেপির মতুয়া শিবিরে ভাঙন রুখতে তৎপর হয় রাজ্য নেতৃত্ব। এক দিকে যখন মঙ্গলবার বিজেপির মতুয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তার আগেই বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
হিরণ জানিয়েছেন, বিজেপিতে দুটি সত্ত্বা আছে, একটি কেন্দ্রীয় অন্যটি বঙ্গ বিজেপি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে বঙ্গ বিজেপির মনে হয়েছে যে তার কোনও গুরুত্ব এবং দায়িত্ব নেই। এই কারনেই তিনি গ্রুপগুলি ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন। গত ১১ মাস ধরে তিনি বঙ্গ বিজেপিতে কাজ করেছেন এবং পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র প্রচার করেছেন। এরপরে তিনি খড়গপুরের বিধায়ক হন।

spot_img

Related articles

আবেগঘন বার্তা দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় চেতেশ্বর পূজারার

ভারতীয় ক্রিকেট দলের বহু টেস্ট জয়ের স্বাক্ষী তিনি। বহু ম্যাচে একা হাতে ভারতকে বাঁচিয়েওছেন। এবার সেই চেতেশ্বর পূজারাই(Cheteshwar...

বিহারে এত পাক নাগরিক! জানেই না প্রশাসন

বাংলার অরক্ষিত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে চিৎকার করছেন অমিত শাহ। এবার সীমান্তে অমিত শাহের (Amit Shah)...

চলন্ত ট্রেনের ওপর ছিঁড়ে পড়ল বিদ্যুতের তার, আতঙ্কিত যাত্রীরা

বড়সড় ট্রেন দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা। সঠিক সময়ে ট্রেন দাঁড় না করালে রবিবার সকালেই ঘটে যেত এক ভয়ঙ্কর...

দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশে সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী কে? রইল তালিকা

দেশে কোটিপতি মুখ্যমন্ত্রীদের ভিড়ে ব্যতিক্রম শুধু একজন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বর্তমানে দেশে সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী তিনি।...