এতদিন বাংলায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছেন এবার বিদ্রোহীদের “পিকনিক পলিটিক্স” থামাতে বাংলায় পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অস্বাভাবিক মনে হলেও এটাই সত্যি। পুরনো নেতারা বিজেপির নতুন কমিটিতে জায়গা না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন। তাদের বাগে আনতেই এই সিদ্ধান্ত বিজেপির।

শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, অশোক কীর্তনীয়াদের সাম্প্রতিক বিদ্রোহে বঙ্গ বিজেপির কঙ্কালসার চেহারাটা বেআব্রু হয়ে গেছে। “দলে দাম পেলাম না” র ক্ষোভ রাস্তায় নেমে এসেছে। যা সামাল দিতে পারেননি বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সব দেখে শুনে আপাতত কলকাতা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন নিজের জেলায়। ঘনিষ্ঠ মহলকে দিয়ে বাজারে বলে রাখছেন তিনি রেস্ট নিচ্ছেন।
এদিকে দিলীপ ঘোষ একদিনের জন্য দিল্লিতে গিয়েছেন। তারপরেই পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত দলের। রিতেশ তিওয়ারিও ঘুরঘুর করছেন দিল্লিতে। এর মধ্যে যোগসূত্র খুঁজছে বিদ্রোহীরা। জানা গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারও “পিকনিক পার্টি”র সঙ্গে কথা বলতে চান। কেননা তাঁর আশঙ্কা হচ্ছে এদের সঙ্গে কথা না বলে ছেড়ে রাখলে শুভেন্দু ও সাংগঠনিক সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তীদের হাতে সব ছেড়ে দিলে জটিলতা কমার বদলে আরও বাড়বে। তাই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী তিনি।

এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহ দমনে তাদের নতুন করে কমিটিতে নেওয়া হবে নাকি পুরনো কমিটিই বহাল রাখা হবে তা নিয়ে কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট এ পরিনত হয়েছে বিজেপির দুই শিবিরে। তবে এদিন দিলীপ ঘোষ এসব ধামা চাপা দিতে বলছেন সব ঠিক আছে। দলের পক্ষ থেকে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিদ্রোহীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের শ্লথ গতিতে ক্ষুব্ধ। তারা প্রথমে মঞ্চ গড়ে তারপর নতুন দল গঠনের দিকে এগোচ্ছেন।

আরও পড়ুন- Netaji Birthday Celebration: নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে দেশজুড়ে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’
