Thursday, May 15, 2025

Parliament: বেচুবাবু মোদি গঠন করেননি কিছুই, অথচ বিক্রি করেছেন ২৩ টি রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা

Date:

Share post:

দেশের ঐতিহ্য ভাঙায় পারদর্শী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী(PrimeMinister) নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। অতীতে প্রধানমন্ত্রীরা শুধু গঠন করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যা পাচ্ছেন, সব বেচে দিচ্ছেন। রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঠিক এই ভাষাতেই তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্ৰেস(Congress) সাংসদ রিপুণ বোরা(Ripun Bora)।

সংসদে বৃহস্পতিবার তথ্য তুলে ধরে রিপুণ বোরা জানান, রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তৈরি করেছিলেন। অটলবিহারী বাজপেয়ি ১৭টি, আর মনমোহন সিং গঠন করেছিলেন ২৩টি সরকারি সংস্থা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর একটিও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গঠন করেননি। বরং তিনি ২৩টি সংস্থা বিক্রির ব্যবস্থা পাকা করেছেন। সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। আগে সরকারি সংস্থায় চাকরি পেত বহু মানুষ। এখন শুধু ছাঁটাই। ভারতের ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৮৪ কোটি মানুষের আয় বিপুল কমেছে। বহু মানুষ জীবিকা হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ বন্ধ হয়েছে রেলে। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কেন্দ্র। অথচ ইউপিএ সরকার ২৭ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে এসেছিল।

আরও পড়ুন:Punjab: ভোটের মুখে ইডির হানা, গ্রেফতার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চান্নির ভাইপো

কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, জহরলাল নেহেরু থেকে ইন্দিরা গান্ধী- এইসকল প্রধানমন্ত্রীদের জমানায় একের পর এক রাষ্ট্রয়াত্ত সংস্থার উদ্ভব হয়েছিল পেট্রলিয়াম সংস্থা, তাবৎ ব্যাঙ্ক ও বিমা কোম্পানির জাতীয়করণ হয়েছিল এই সময়সীমায়। পরে রাজীব গান্ধী, নরসিমা রাও, অটলবিহারী বাজপেয়ি ও মনমোহন সিংয়ের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ যেমন হয়েছিল, তেমনই গড়ে উঠেছিল একের পর এক নতুন সংস্থাও—কন্টেনার কর্পোরেশন, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর, গেইল ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিনান্স কোম্পানি অথবা একঝাঁক পেপার কর্পোরেশন। এই সংস্থাগুলির হাত ধরেই উন্নয়নের উড়ান নিয়েছিল ভারত। একে একে এসেছে কোঙ্কন রেলওয়ে কিংবা দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন, ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি, সাউথ ইস্টার্ন কোলফিল্ডস এবং বিএসএনএল। তবে মোদি শাসনে তালিকা শুরু হয় এসব কিছু বিলগ্নীকরণ করার। এখনও পর্যন্ত ৩৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তালিকা তৈরি হয়েছে বিক্রির জন্য। গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বড় আর্থিক সংস্থা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অথচ বহু সরকারি সংস্থা সরকারি কোষাগারের লাভের টাকা তুলে দিচ্ছে।

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেব, শুধু চলতি আর্থিক বছরেই ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। এসবই সাধারণ সমস্যা। তারপরও ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকার সংস্থা বিক্রির পরিকল্পনা শুধু চলতি আর্থিক বছরে।

spot_img

Related articles

বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ! রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ডাহা ফেল ৫১ জীবনদায়ী ওষুধ

রাজ্যের বাজারে ফের মিলল জাল ও নিম্নমানের ওষুধের হদিশ। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের সাম্প্রতিক নমুনা পরীক্ষায় গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ...

অ্যাক্রোপলিস মলে মাতৃত্বের জাদুতে মাতোয়ারা শহর, বিশেষ দিনে সম্মানিত হলেন মা ও সন্তানরা

“মা” শব্দটি শুধু একটিমাত্র ডাক নয়—এ এক অনুভব, এক শক্তি। সেই মাতৃত্বের জাদুকেই সম্মান জানিয়ে মাতৃ দিবস উপলক্ষে...

চেন্নাইকে টেক্কা বাংলার! মৃত্যুর মুখ থেকে রুক্মিণীকে ফিরিয়ে আনল হাওড়ার হাসপাতাল

‘উন্নত চিকিৎসা মানেই দক্ষিণ ভারত’— এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করল হাওড়ার নারায়ণা হাসপাতাল। বাইকের ধাক্কায়...

মরণোত্তর অঙ্গদানে অনন্য দৃষ্টান্ত! চার জনকে নতুন জীবন দিলেন জয়েশ 

মৃত্যুর পরেও চারটি প্রাণে জীবনপ্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে গেলেন দমদমের কাশিপুরের যুবক জয়েশ লক্ষ্মীশঙ্কর জয়সওয়াল। মাত্র ২৫ বছর বয়সে...