Thursday, August 28, 2025

বিজেপি দিল্লির রাজপথে বাংলাকে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্ল্যাকার্ড ধরে মিছিল করুক, তোপ কুণালের

Date:

Share post:

ফের বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা না করে বিজেপি দিল্লির রাজপথে বাংলাকে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্ল্যাকার্ড ধরে মিছিল করুক। আগামী ২৯ এপ্রিল দু’দিনের দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হতে পারে জানা গিয়েছে। আর সেই সময় বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে দিল্লিতে ধর্ণা দেবে এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তারই প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।

তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী যখন দিল্লিতে থাকবেন, তখন বিজেপির এই কর্মসূচি হাস্যকর। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর আলোকে আলোকিত হতে চাইছে এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। কুৎসা না করে যেভাবে বাংলাকে বৈষম্য করা হয়েছে, সেটা আগে দিল্লিকে বলুক বিজেপি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনা টিকা নিয়ে যেভাবে বৈষম্য করা হয়েছে, তা কেন্দ্রকে বলুক বিজেপি। বাংলার প্রতি দিল্লির বঞ্চনার কথা না বলে কেন্দ্রকে অবিলম্বে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলুন।” এরই সঙ্গে তৃণমূল নেতার সংযোজন, “বিজেপির মনে রাখা উচিত, পারফরম্যান্স-এ কেন্দ্রের বিচারে বিচারে প্রথম হয় বাংলা। বাংলায় ভোটে জিততে পারছে না। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই ব্যাকডোর পলিটিক্স করছে এ রাজ্যের বিজেপি। এর আগেও দেখা গিয়েছে শিল্প সম্মেলনের দিন দেউচা-পাঁচামি, সিঙ্গুরে যাচ্ছে বিজেপি। ওদের কর্মসূচি ঠিক হয় তৃণমূলকে দেখে।

আরও পড়ুন:গোপনে স্বামীর মোবাইল দেখা মানসিক অত্যাচার: জানাল হাইকোর্ট

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আর কী বললেন কুণাল ঘোষ-

প্রসঙ্গ অনুব্রত মন্ডল: হাসপাতালে থাকলে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে, দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের পর কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলায় অনেক বিজেপি। এটা কারা বলছে, দিলীপ বিজেপি নাকি সুকান্ত বিজেপি। শুভেন্দুর পরিষদিয় দল বনাম দল। আলাদা কমিটি করে দল চালাতে চায় এ রাজ্যে। আসলে দিলীপবাবু গরমে প্রলাপ বকছে।” এরপরই অনুব্রত প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “ওনার আইনজীবী উত্তর দিচ্ছেন। তিনি হাসপাতালে ছিলেন, নিশ্চয় কিছু অসুস্থতা ছিল। যেটা তাঁর চিকিৎসকরা দেখছেন।”

প্রসঙ্গ রাজ্যপাল: সংবিধান মেনে চলুন। ভুল বকে নিজেই ক্লান্ত। বিজেপির লোকেরাও বিরক্ত এই রাজ্যপালকে নিয়ে। আর বাংলার লোক তো বিরক্ত হবেই।

প্রসঙ্গ অর্জুন সিং: জেদ করে ব্যক্তিগত স্বার্থে যারা বিজেপি করতে গিয়েছিলেন, তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। এটা বাস্তব কথা, কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করছে। এবার সেই বঞ্চনার প্ল্যাকার্ড দিল্লির রাজপথে নিয়ে ঘুরুক বিজেপির এইসব নেতারা।

প্রসঙ্গ চিটফান্ড: নতুন করে যে চিটফান্ড কর্তারা ধরা পড়েছে এটা রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতা। বাম জমানার মতো নয়, যেখানে সারদা, রোজভ্যালি, আইকোর সহ গজিয়ে ওঠা অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। অর্থলগ্নি নিয়ে সরকারের এতো সতর্কীকরণ প্রচারের পর সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা উচিত।

বিজেপি নেতাদের হোয়াটসআপ গ্রুপ ত্যাগ: মুষল পর্ব চলছে। বিধানসভার আগে যোগদান মেলা, এখন বিয়োগ মেলা দেখতে হবে। যাকে তাকে তখন দলে নিয়েছে। আদিদের গুরুত্ব দেয়নি। দল বনাম পরিষদীয় দল। কোনও সুস্থ মানুষ বিজেপিতে থাকতে পারবে না। বারো ভুতের দল। বারো রকমভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটছে।

যোগী রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা: বিধায়ক মারধর করছেন। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রয়াগে ধর্ষণ হয়েছে, পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না। ডাবল ইঞ্জিন সরকার চলেছে ওখানে। উত্তর প্রদেশ এখন জঙ্গলরাজ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখন কোথায়? ২০২৪ সালের লোকসভায় উত্তর প্রদেশের মানুষ বিজেপিকে জবাব দেবেন।




spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...