হাঁসখালিকাণ্ডের তদন্তের শুরুতে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার মা। সেখানে নির্যাতিতার প্রেমিক ও তাঁর বন্ধুদের নামই অভিযুক্তদের তালিকায় ছিল। সেইমতো চলছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তথা CBI তদন্ত। এফআইআর অনুযায়ী মূল অভিযুক্তদের ও নির্যাতিতার বাবা-মায়ের DNA টেস্ট করে দিল্লিতেও পাঠানো হয়েছে। তবে তাতেও কিনারা হয়নি। আচমকাই মূল অভিযুক্তের তথা ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা সমরেন্দু গয়ালিকে গ্রেফতার করা হল। মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে ।
আরও পড়ুন:নজরদারি বাড়ছে, এবার অনুব্রতর পাসপোর্ট চাইল সিবিআই
প্রসঙ্গত, রবিবারই যোগীরাজ্যের প্রয়াগরাজে এক পরিবারের ৫ জনের নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার তদন্তে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের যান। নির্যাতিত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। সোমবার রাতেও যোগীরাজ্যের গোরক্ষপুরে একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা শিরোনামে উঠে এসেছে। তবে কী বিজেপি শাসিত রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই কী তড়িঘড়ি হাঁসখালির ঘটনায় তৃণমূল নেতাকে মূল অভিযুক্ত বানিয়ে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা? ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে বলেই কী প্রতিশোধ নিতে নামল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা? তাহলে কী এটা বলা যায়, প্রতিশোধ এবং চক্রান্তের প্লট তৈরি করতেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল CBI?বিজেপি শাসিত যোগী রাজ্যে হাথরস, প্রয়াগরাজ, গোরক্ষপুরের মত নৃশংস ঘটনার দোষ ঢাকতেই কী ঘুরপথে প্রতিহিংসা মেটাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
