বরাবরই রাজনৈতিক সৌজন্য দেখান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেটা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadev Bhattacharya) চিকিৎসাই হোক বা সিপিআইএম চাওয়া জমি- সব বিষয়েই দায়িত্বশীল প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন মমতা। রাজারহাটে (Rajarhat) প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু (Jyoti Basu) মেমোরিয়ালের জন্য জমি চেয়েছিল CPIM। অনুরোধ মেনে নির্মীয়মাণ নতুন হাই কোর্টের কাছে ৫ একর জমি অনুমোদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ’-এর নামে জমিটি কেনা হয়েছে। ট্রাস্টের সচিব রবীন দেব (Rabin Deb)। বিমান বসু-সহ অন্যান্য সিপিআইএমের প্রথমসারির নেতারাও আছেন এই ট্রাস্টে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের পর বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সেরে জমিটি পেয়েছে ট্রাস্ট। ৮ জুলাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন। ওই দিনই প্রস্তাবিত মেমোরিয়ালের রূপরেখার খসড়া সম্পূর্ণ করতে চাইছে সিপিআইএম।

গতবত ৮ জুলাই থেকেই ওই জমিতে একাংশে বৃক্ষরোপণ হয়েছে। লাগানো হয়েছে বোর্ড। এবার মেমোরিয়াল তৈরির কাজ পুরোদস্তুর শুরু হচ্ছে। স্মৃতি সৌধ গড়তে আধুনিক প্রযুক্তি ও বিশিষ্ট নির্মাতাদেরও মতামত নিচ্ছে আলিমুদ্দিন। দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে সদর দফতরে। নকশা নিয়ে বৈঠক চলছে। উৎকর্ষে অভিনবত্ব চাইছেন নেতারা।
কী থাকছে ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চে-এ?

• সূত্রের খবর, জ্যোতি বসু ও বাম আন্দোলন সংক্রান্ত সংগ্রহশালা, গ্রন্থাগার, প্রদর্শনশালা, অডিটোরিয়াম।
• অতিথিদের জন্য থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে।
• বাম আন্দোলন নিয়ে যাঁরা গবেষণা করতে চান, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, নথি থাকবে।
ট্রাস্ট সূত্রে খবর, সিপিআইএমের এই সঙ্কটের সময় আর্থিক পরিস্থিতি সুবিধার নয়। ফলে কাজ চলেছে ঢিমেতালে। তবে, জ্যোতি বসু মেমোরিয়ালের কাজে দেরি করতে চান না সিপিআইএম নেতারা। এবার নকশা চূড়ান্ত করে মূল কাজ শুরু হতে চলেছে।

আরও পড়ুন:Corona update: স্বস্তি! একসপ্তাহ পর একদিনে সংক্রমণ ২ হাজারের কম
